নিউজ ডেস্ক : হঠকারী সিদ্ধান্ত, সমন্বয়হীনতা এবং অবমূল্যায়নে আতঙ্কিত ও বিরক্ত হয়ে বিএনপির কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন দলটির অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দই। এবার সে পথেই হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন আফরোজা আব্বাস।
জানা গেছে, আফরোজা আব্বাস বিএনপির বিশেষ করে মহিলা দলের কার্যক্রমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। জাতীয় মহিলা দলের কমিটিতে সভাপতি হওয়ার পর থেকে তাকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অত্যন্ত সরব দেখা গেছে। এমনকি নতুন কমিটির সভাপতি পদ পেয়ে তিনি জাতীয় মহিলা দলের কার্যক্রমকে দৃশ্যমান অবস্থায় নিয়ে আসেন। কাজেই রাজনীতিতে জনপ্রিয় এবং সক্রিয় বলেই আফরোজা আব্বাসসহ তার ভক্তদের বিশ্বাস ছিলো তাকেই সংসদে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনীত করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এতে আফরোজা আব্বাসের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর আফরোজা আব্বাসের সমর্থকরা মনে করেছিলো, মনোনয়ন না দিলেও হয়তো দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে অধিষ্ঠ করা হবে। কিন্তু তাও করা হচ্ছে না। আফরোজার সমর্থকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং বিএনপির দুঃসময়ে দলে নারী সংগঠনের হাল ধরে রাখা আফরোজা আব্বাসকে একাধিকবার অবমূল্যায়ন করেছে বিএনপি। মনে হচ্ছে অর্থের কাছে ত্যাগের রাজনীতি বারবার পরাজিত হয়।
সূত্র বলছে, আফরোজা আব্বাসকে বাদ দিয়ে রুমিন ফারহানার মতো আনকোরা এবং অতিথিকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে আব্বাস পরিবার। তবে এরপরেও বিএনপির প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিলো না আব্বাস পরিবারের। তবে এতদিনেও স্ত্রীকে যথাযথ মূল্যায়ন না করায় নতুন করে বিএনপির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন মির্জা আব্বাস। এই ক্ষোভ তারা গোপন রাখেনি, প্রকাশ্যেই তারা এখন তারেক রহমানের সমালোচনা করছেন। তারা বলেছেন, বিএনপিতে যারা ত্যাগী, দুঃসময়ের সঙ্গী ছিলো তারা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। এর ফলে মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী রাজনীতি করবেন কিনা তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্পষ্ট করবেন বলেও জানিয়েছেন আব্বাস দম্পতি।