logo
Monday , 8 May 2023
  1. সকল নিউজ

সেপ্টেম্বর মাসেই উন্মুক্ত হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প

প্রতিবেদক
admin
May 8, 2023 9:54 am

রাজধানীতে প্রবেশ-বের হতে ২০ কি.মি. সড়কে যানজটের ভোগান্তি থাকবে না অপেক্ষা আর মাত্র ৪ মাস। সেপ্টেম্বর মাসেই খুলে দেয়া হবে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বিমানবন্দর-টঙ্গী-গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সবগুলো লেন।

নির্মাণের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ১০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেই সেপ্টেম্বর মাসেই ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’র মতোই গণপরিবহণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আগেই দু’ দরজা খুলে দেয়া হয়েছে।

এমনটাই জানালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিআরটি খুলে দেয়া হলে ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর রোডে যারা চলাচল করেন তারা দীর্ঘদিনের ‘যানজট যন্ত্রনা’ থেকে মুক্ত হবেন। চীনের তিনটি ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানী এই সড়ক নির্মাণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিআরটি চালু হলে বদলে যাবে দৃশ্যপট। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হতে যুগান্তকারী সুবিধা ভোগ করবেন। এ সড়ক ব্যবহার করে দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন। আশপাশের মানুষও যাতায়াতে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। জানা যায়, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও খুবই ধীর গতিতে কাজ চলছিল। তবে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এখন দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে। চীনের তিনটি ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানী নির্মাণ কাজ করছে। ২০ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্পেনর মধ্যে রয়েছে-এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্টেশন ও উড়াল সেতু, বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)।

জানতে চাইলে বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, যানজট নিরসন ও সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে পুরোদমে কাজ চলছে বিআরটি প্রকল্পের। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গণপরিবহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এই প্রকল্পটি খুলে দিলে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর সড়ক ব্যবহারকারী সকলের যোগাযোগ সহজ হবে।

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিমানবন্দর-টঙ্গী-গাজীপুর চৌরাস্তা। যানজট নিরসন ও সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে সড়কে অনেকটাই শৃঙ্খলা ফেরাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার মাঝে প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে সব সময়ই ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় গণপরিবহন ও পথচারীদের।

র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের জন্য দীর্ঘদিন থেকে প্রতিদিন এই গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়ছে লাখো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকছে যানবাহন। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নিয়ে সমালোচনার শেষ ছিল না। যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল অন্তহীন। অনেক যাত্রী বিমানের ফ্লাইটও মিস করেছেন। বিআরটি প্রকল্পের গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে প্রাইভেটকারে পাঁচ জন নিহত ঘটনায় প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই হয়েছে বলে বলছেন যোগাযোগ সংশ্লিটরা। দুর্ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এজন্য উন্নয়ন কাজ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়কে। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে রয়েছে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ চলছে। চলমান প্রকল্পটি চালু হলে এই রুটে চলাচলকারী জনগণের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাস চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে বলে জানা যায়।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। তবে সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হতে পারে বলে জানা যায়।

এদিকে, গত ঈদুল ফিতরের আগে প্রকল্পের এক অংশ খুলে দেয়ায় সুফল মিলছে বিআরটি প্রকল্পের। প্রকল্পের এক অংশ খুলে দেওয়ায় সহজেই যানবাহন চলাচল করতে পারছে ঈদের দিনেও সহজে যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পেরেছেন। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি র‌্যাম্প গণপরিবহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরের সামনে গাজীপুরমুখী এই র‌্যাম্পটি অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের আগে ময়মনসিংহ অভিমুখী যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে র‌্যাম্প ও মূল অংশ নিয়ে বিআরটির মোট ৬৮৩ মিটার চালু করা হয়েছে। উড়ালসড়কটি শুধু হালকা ও মাঝারি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ পথ দিয়ে বড় বাস, ট্রাকসহ পণ্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিআরটি প্রকল্পের এই র‌্যাম্পটি খুলে দেওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল সহজ হয়েছে।

বহুল আলোচিত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং অংশের ঢাকামুখী দুটি লেইন সাধারণ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৬ নভেম্বর ওই দুই লেইনের উন্মুক্ত করেন। চালু হওয়া এই অংশ দিয়ে আপাতত ঢাকামুখী যানবাহন যাবে। বিআরটির ডেডিকেটেড বাস এলে তখন অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি বিআরটির বাস চলবে। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত।

এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, গাজীপুরে মহাসড়কে দুর্ভোগ কমাতে রাজধানীমুখী ফ্লাইওভারের ২ দশমিক ২ কিলোমিটার দুটি লেন খুলে দেয়া হলো। আগামী জুনের মধ্যে বিআরটির প্রকল্প সম্পূর্ণ খুলে দেয়া সম্ভব হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমাতে আপাতত আংশিক খুলে দেয়া হল। এ প্রকল্প শেষ হলে দুর্ভোগ কমবে। প্রকল্পটি দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নিয়ে সমালোচনার শেষ ছিল না। যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল অন্তহীন। অনেক যাত্রী বিমানের ফ্লাইটও মিস করেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য উত্তরা এলাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার মাঝে ও রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে নির্মাণ সমগ্রী। আনুষ্ঠানিক বিআরটি প্রকল্পের ঢাকামুখী দুইটি লেন উন্মুক্তকরণের পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে ঢাকামুখী বেশিরভাগ গণপরিবহনকে আগের রাস্তায়ই চলতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়েই চলছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেটকার, পিকআপ, মোটরসাইকেলকে নতুন উন্মুক্ত করা ঢাকামুখী দুই লেনে চলতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফ্লাইওভারের উপরের দুই লেন উন্মুক্ত করা হলেও সাধারণ গণপরিবহন বা যাত্রীবাহী বাস যদি ব্যবহার না করে তাহলে কাক্সিক্ষত উপকার পাওয়া যাবে না। নিচের অংশে খানা খন্দ থাকলেও অধিক যাত্রী পাওয়ার আশায় ফ্লাইওভার ব্যবহার করছে না। আর ফ্লাইওবার ব্যবহার না করলে গাড়ির চাপ ও যানজটের ঘটনা ঘটবেই।

জানা যায়, ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়ক। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু রয়েছে। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের মতামত নেয়া হয়। দুই মহানগরের পুলিশ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরোনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরোনো সেতু ব্যবহার করতে হবে।

বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৯০ শতাংশ। নির্মাণ কাজের কারণে চার বছর চরম দুর্ভোগ চলছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা থেকে জয়দেবপুর অংশে।

চীনের তিনটি এবং বাংলাদেশের একটি কোম্পানি এই প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। এর মধ্যে উড়াল সড়ক ও নিচের সড়ক নির্মাণের কাজ পেয়েছে চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি), জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রæপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ। আর গাজীপুরে বিআরটির ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি।

মাইক্রোবাসের চালক শাকিল বলেন, এমনিতেই এই সড়ক দিয়ে যাত্রীরা আসতে চান না। রাস্তায় খানা খন্দ এবং গাড়ির চাপ বেশি। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলার কারণে এই সড়ক এখন অনেকেই ব্যবহার করতে চান না। আর যার ব্যবহার করেন তারা মূলত বাধ্য হয়েইে করেন। এছাড়া এই সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার আতঙ্ক তো রয়েছেই।

সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, ব্যস্ততম বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটারের এই করিডরটি বিআরটি প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত না হলেও সেখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিবন্ধী-নারী-বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগি-অপরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিম্নবিত্ত-মধ্য নিম্নবিত্তদের জন্য একদমই উপযোগি করা হয়নি বিআরটি, কোন পরিকল্পনাও ছিলো না এই বিষয়ে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও পদে পদে ভুল দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে, জীবন গেছে বেশ কিছু সাধারণ মানুষের। এখন আবার ৪ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১ বছর লাগিয়ে এখন বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে ১০০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া নাকি তারা করতে চাচ্ছেন ১০ টাকা। এতে করে সাধারণ যাত্রীদের আরাম বা সঞ্চয়ের চেয়ে কষ্ট-ব্যয় আর ভোগান্তি বাড়বে। এমতবস্থায় ভাড়া ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটারের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, সর্বনিম্ন ভাড়া ৪ টাকা, প্রতিবন্ধী উপযোগি সিঁড়ি, নারী-শিশু -বয়স্কদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করা হোক।

জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা পাওয়ার জন্য যে বিআরটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে কিন্তু সেভাবে সেটা হয়নি। কন্ট্রাকশন এমন একটি শিল্প যেখানে টাকা দেয়া হয় তবুও এমন একটি জনবহুল জায়গায় এভাবে কাজ হচ্ছে এটা কাম্য নয়। এতে নিরিহ মানুষ শিকার হচ্ছে। এই প্রকল্প করার আগে বিআরটির দর্শন অনুসরণ করা হয়নি। এসব কারণেই এখন আমাদের উন্নয়ন যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও দোকানের পাশে ১ মিটারের কম জায়গা রাখা হয়েছে। ফুটপাথে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়নি। পথচারীদের যেসব সুযোগ ছিলো সেগুলো নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ আমজনতা তেমন কোনো সুবিধা পাবে না। এটি একটি খন্ডিত উন্নয়ন।

সর্বশেষ - সকল নিউজ