সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচির নামে নাশকতা ও মানুষ হত্যা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার বাইরে ও ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় শুরু হয় যুগপৎ আন্দোলনের নামে সহিংসতা। কিন্তু কোনো কিছুতেই ফলাফল না পেয়ে এবার নাশকতার ‘নতুন কৌশল’ গ্রহণ করতে যাচ্ছে দলটি।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পতন ঘটাতে শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি পৃথকভাবে বৈঠক করে নাশকতার নতুন কৌশল ঠিক করছে। শিগগিরই মাঠে নামার আভাসও দিয়েছেন বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলোর নেতারা। এমনকি নতুন কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নানা প্রলোভনও দেখাচ্ছেন সিনিয়র নেতারা।
এদিকে, নাশকতার নতুন কৌশল নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। হাইকমান্ডের নতুন কৌশলে তারা মাঠে নামবেন কিনা তা নিয়েও ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, অতীতে বারবার আন্দোলন করেও সরকারের পতন ঘটানো যায়নি। উল্টো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে অনেক নেতাকর্মীই দলবিমুখ হয়ে পড়েছেন। এখন নতুন কৌশলে তাদের মাঠে ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাশকতার নতুন কৌশল নিয়ে বিএনপির শরিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নিয়মিত বৈঠক করলেও আন্দোলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এসব দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপি রাজনীতি থেকে বের হয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। এজন্য তারা বারবার আন্দোলনের নামে নাশকতার পথ বেছে নিচ্ছে। এতে জনগণের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সমর্থনও হারাচ্ছে। অচিরেই নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়বে বিএনপি।