মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান ‘নেয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা)’র সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তাদের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করে এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টার্যাকটিভ সেশনে অংশগ্রহণ করে এ প্রশংসার কথা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান নেসা সেন্টারের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য সব দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অধ্যাপক ড. হাসান আব্বাস ৪৬ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন। ইন্টার্যাকটিভ সেশনে তিনি সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে জানান, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায় বলে উল্লেখ করেন। ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর ও দূতালয়প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। প্রতিনিধি দলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত সেমিনারে ২৮ দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
