logo
Monday , 15 April 2024
  1. সকল নিউজ

বিএনপি গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: কাদের

প্রতিবেদক
admin
April 15, 2024 10:22 am

বিএনপি গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বোস্তরের জনগণ যখন পবিত্র ঈদ উৎসব উদযাপন করছে, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিটি গৃহকোণে পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা-ঠিক সে সময়ে বিএনপি তথাকথিত ‘গুম-নির্যাতনের’ কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা জানাতে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের দেওয়া বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে।

তিনি বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম ‘ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন-নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বিএনপি নেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ’র দাবি জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কিন্তু মির্জা ফখরুল ‘বিরোধীদলের ওপর সরকারের নির্যাতন’-এর অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সরকার দেশে যে কোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর জানিয়ে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখন ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ার এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত