অর্থকষ্টে বিএনপির নেতারা কোনো কর্মসূচি নিতে পারছেন না। দলের হাইকমান্ড আশ্বাস দিয়েছিলো যে, আন্দোলন সংগ্রামে যে সমস্ত নেতারা গ্রেপ্তার হবেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে বিএনপি। কিন্তু তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সেই অঙ্গীকারও পূরণ করতে পারছে না শীর্ষনেতারা। সব কিছু মিলিয়ে অর্থকষ্টে রয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছে দলের পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির অর্থকষ্টের প্রধান কারণ হলো- সমস্ত ডোনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির ভয়াবহ তাণ্ডবের পর যেভাবে পরিস্থিতি বদলে গেছে। তা দেখে ডোনাররা বুঝে গেছেন, বিএনপির আর ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা নেই। তাই বন্ধ করে দিয়েছেন ডোনেশন। শুধু তাই নয়, আওয়ামীপন্থী হয়েও যে সব ব্যবসায়ী বিএনপিকে গোপনে অর্থ সহায়তা করতো তারাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এছাড়াও দলটির ব্যবসায়ী নেতা আমীর খসরু মাহমুদ দীর্ঘদিন জেলে থাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপির নেটওয়ার্কও নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু অবিশ্বাসী একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার কাছে কোনো ব্যবসায়ীরা টাকা পয়সা দেওয়াটাকে নিরাপদ বোধ করেন না। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির অর্থের উৎসগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে কর্মসূচী দেওয়ার সাহস পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতারা।
কিন্তু লন্ডনে পলাতক জীবনেও বেশ আরাম-আয়েশে কাটছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন দেশে পাচার করা টাকা থেকে বিনিয়োগ এবং হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন তারেক রহমান। নিয়মমাফিক মুনাফা পাচ্ছেন। এছাড়াও তার অর্থের অন্যতম উৎস হল বিভিন্ন প্রবাসে থাকা বিএনপির নেতারা। যুক্তরাজ্যে বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকসহ বিভিন্ন দেশের অবস্থানরত বিএনপির ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তারেক জিয়াকে চাঁদা দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। সে সব টাকায় রীতিমতো রাজকীয় জীবনযাপন করছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
আর এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা নতুন কর্মসূচী দিতে পারছে না। তারেকের নির্দেশে নাশকতা চালিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জেল খাটছেন অন্ধকার কারাগারে। তাদের খবরও নিচ্ছে না তারেক রহমান।
