অভ্যন্তরীণ বিভক্তিতে টানা ৩টি জাতীয় নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে ধরাশায়ী হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বহিষ্কার হয়েছেন অসংখ্য নেতা। বিগত বছরগুলোর মতো আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও বিভক্তি দেখা গেছে বিএনপিতে।আসন্ন উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ সরাসরি দ্বিমত পোষণ করেছেন, আবার কেউ নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। ঐ বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দলটির এক পক্ষের নেতাকর্মীরা জানান, তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে হলে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিকল্প নেই। এ নির্বাচন বিএনপির জন্য সহায়ক হবে। এ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে জয়লাভ করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে বিএনপির দলীয়ভাবে নমনীয় থাকা উচিত।
এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিপক্ষে থাকা নেতাদের দাবি, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নেই। এ অবস্থায় হঠাৎ করে নির্বাচনে যাওয়া দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর একই কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির নৈতিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। কেউ কেউ অন্য রাজনৈতিক দলেও যোগ দেবে। এতে বিএনপির বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এভাবে বারবার নির্বাচন বর্জন করলে অদূর ভবিষ্যতে বিএনপিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হবে।