logo
Monday , 29 January 2024
  1. সকল নিউজ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

প্রতিবেদক
admin
January 29, 2024 9:23 am

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল বিষয় ছিল স্মার্ট বাংলাদেশ। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে এমন উদ্দেশ্য নিয়ে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ এখন মানুষের প্রত্যাশা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমে গঠন করতে হবে স্মার্ট রাজধানী। আদিম কালের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খল পাবলিক পরিবহন, অবৈধ দখলদারিত্ব, নোংরা পরিবেশ এবং ভয়ংকর বায়ুদূষণ অব্যাহত রেখে স্মার্ট রাজধানী গড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। স্মার্ট রাজধানী ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করাও অমূলক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে। করোনা মহামারির সময় অনেকটা বাধ্য হয়েই মানুষকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্ত হতে হয়েছে। গত কয়েক বছরে আরও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ধারণা। অনেক অফিস এখন কগজবিহীন। পর্যায়ক্রমে সকল অফিস আদালতই কাগজবিহীন করে তোলার চেষ্টা চলছে। মানুষকে নানা ধরনের বিল পরিশোধের জন্য এখন আর ব্যাংকে লাইন দিতে হয় না। মোবাইল ফোনেই চলছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। বিদেশ থেকে টাকা আসছে মিনিটের মধ্যে।

টেন্ডার জমা দেওয়ার চিরচেনা মারামারি আর নেই। সবচেয়ে কঠিন ভূমি ব্যবস্থাপনাও অনেকটাই ডিজিটাল হয়ে গেছে। ডিজিটাল দেশ গড়ার সাফল্যের পর সরকার মনোযোগ দিয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট, আধুনিক এবং উন্নত। সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে কাজ শুরু করতে হবে এখনই। শুরু করতে হবে রাজধানী ঢাকা থেকে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে স্মার্ট ঢাকার কোনো বিকল্প নেই।
স্মার্ট ঢাকা গড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। পদ্মা সেতুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে নির্মিত হয়েছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর একটি রুটে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আরও দুটি রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক কুড়িল এক্সপ্রেসওয়ে। অর্ধেক চালু হয়েছে বিমানবন্দর-কুতুবখালী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। উদ্বোধন করা হয়েছে সর্বাধুনিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল। এতটার পরও স্মার্ট হয়ে উঠতে পারেনি রাজধানী ঢাকা। শুধু সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাব, অপ্রতিরোধ্য পরিবহন মালিক সমিতি, দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং আদিম চিন্তাভাবনা এর কারণ।
রাজধানীকে স্মার্ট করার আগে পরিবহন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে রেকর্ড পরিমাণ লেখালেখি, আলোচনা, সমালোচনা হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো বিষয় বা সমস্যা নিয়ে এত সমালোচনা হয়নি। স্বার্থসংশ্লিষ্ট থাকায় কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গে না কিছুতেই। গোটা বিশে^র কোনো শহরে এখন আর এনালগ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বহাল নেই। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশকে অমানবিকভাবে গাড়ি থামানোর কৃষ্টি এখন জাদুঘরে। রাজধানী ঢাকায় এটি বহাল তবিয়তে রয়েছে।

সিটি করপোরেশন থেকে কয়েক দফায়  কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিগন্যাল পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ থেকে হাস্যকর অজুহাতে আঁকড়ে ধরে রেখেছে আদিম ব্যবস্থাপনা। বিশাল জনসংখ্যার ট্রাফিক বিভাগ প্রতিষ্ঠা, প্রতিদিন এই খাত থেকে আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক আয় পর্যালোচনা করলেই অজুহাতের কারণ বের হয়ে আসবে। স্মার্ট ঢাকা গড়তে হলে ট্রাফিক বিভাগের সকল অজুহাত খণ্ডন করে সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিশে^র এমন কোনো শহর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে গণপরিবহনে ট্যাক্সি ক্যাবের অস্তিত্ব নেই। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় একবার ট্যাক্সি ক্যাব চালু করা হয়েছিল। নি¤œমানের ভারতীয় গাড়ি দিয়ে শুরু করা এই ক্যাব সার্ভিস কিছুদিনের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। এক দশক আগে বর্তমান সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর আমলেও স্বল্প পরিসরে ট্যাক্সি ক্যাব চালু করা হয়েছিল। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে এই ক্যাব সার্ভিস সফল হয়নি। এ নিয়ে পরে আর কেউ মাথাও ঘামায়নি।

পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানী ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় প্রধান সমস্যা রিকশা। স্বল্পগতির সীমাহীন সংখ্যার এই যানের কারণে রাজধানীর অনেক এলাকাই ট্রাফিক জ্যামে অচল হয়ে থাকে। রিকশার কারণে সৃষ্ট যানজটের কারণে লাভজন হতে পারে না ট্যাক্সি ক্যাব। একই কারণে শহরতলি এলাকায় বাসের মতো বড় পাবলিক যানবাহন চলাচল করতে পারে না। একটি বাসে ৫০/৬০ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব। সমসংখ্যক যাত্রীর জন্য প্রয়োজন হয় ২৫/৩০টি রিকশা। এজন্য রাস্তা দখল হয় অনেক বেশি।

বাসের চেয়ে রিকশার গতিও অনেক কম। রিকশাজটে বদ্ধ রাস্তাগুলোতে বাস চলাচল করতে পারে না। দ্রুত চলাচলের জন্য মধ্যবিত্তের একমাত্র পরিবহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মিটারযুক্ত এই যানটিকে প্রশাসন এক যুগেও বাগে আনতে পারেনি। প্রতিটি অটোরিকশায় মিটার লাগানো রয়েছে অথচ একটিও মিটারে চলছে বলে কেউ দাবি করতে পারবে না।
রাজধানীর প্রধান পাবলিক পরিবহন হচ্ছে বাস। বারবার নীতিমালা প্রণয়ন, দফায় দফায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অনেক অনুরোধ-নির্দেশ জারির পরও এ পরিবহন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি প্রশাসন। রাজধানীর দুঃসহ যানজটের প্রধান কারণ এই বাস সার্ভিস। কোনো নিয়মনীতি, আইনকানুনের তোয়াক্কাও করে না এরা। যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানোর কারণে রাজধানীতে সৃষ্ট হয় যানজট।

অকারণ প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব বাসের মালিক পক্ষ এতটাই শক্তিশালী যে, গত দুই যুগে কোনো প্রশাসনই এদের বাগে আনতে পারেনি। এরা মানবে না কোনো নিয়মশৃঙ্খলা। ইচ্ছেমতো গাড়ি চালিয়ে আয় করবে তাদের কাক্সিক্ষত অর্থ। প্রায় এক বছর ধরে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রগণ অনেক পরিকল্পনা ও মালিকদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করে মাত্র দুটি রুটে সুশৃঙ্খল কোম্পানি পদ্ধতিতে পরিবহন চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সাধারণ যাত্রীরা স্বস্তি পেয়েছিল এই ব্যবস্থায়। ছয় মাসও চলেনি এই কোম্পানি ব্যবস্থা। দুটি রুটে আবারও সেই অরাজক বাস সার্ভিস কায়েম হয়েছে।

রাজধানীতে বাস, অটোরিকশা কিংবা রিকশা চালু থাকলেও এগুলো কোনোভাবেই যাত্রীদের চাহিদা মিটাতে পারছে না। স্বল্প গতির রিকশা কম দূরত্বে চলাচলে ব্যবহৃত হয়। অটোরিকশা কখন পাওয়া যাবে, কোনো যাত্রীই তা জানে না। নগরপরিবহন বাসগুলো মাধ্যবিত্ত, উচ্চাবিত্ত এবং মহিলাদের চলাচলের অযোগ্য। প্রচ- ভিড় ঠেলে কোনো ভদ্রলোক এসব বাসে চড়তে পারবে না। বিশে^র সকল বড় শহরে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্য আধুনিক বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় অদৃশ্য কারণে এ ধরনের বাস সার্ভিস নেই। উত্তরা-মতিঝিল রুটে এমন বাস সার্ভিস থাকলেও পরিমাণে খুবই অল্প। মধ্যবিত্ত ও মহিলাদের স্বচ্ছন্দে চলাচলের কথা কেউ কখনো ভেবেছে বলেও মনে হয় না।
সম্প্রতি উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। দ্রুতগতির আরামদায়ক এই পরিবহনে প্রতিদিনে বাড়ছে যাত্রীদের সংখ্যা। যানজট ও পরিবহন সংকটসহ সড়কের নানা ঝুঁকি এড়াতে এই মেট্রোরেল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খুবই দ্রুত। প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিবহন পেয়ে যাত্রীরা খুবই খুশি। মেট্রোরেলের কারণে যাত্রীসংকটে পড়ছে এই রুটের বাসগুলো। বিপাকে পড়েছে প্রবল প্রতাপশালী বাস মালিকরা। এখন তারা যাত্রীসেবা উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করছেন।

আগে যারা মেয়রের আহ্বানেও বৈঠকে যোগদান করতেন না, তারা এখন প্রণোদনা দাবি করছেন। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের একটি বক্তব্য খুব মনে পড়ছে। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘বাঙালিকে ওয়াজ নসিহত করে লাভ নেই, তাদেরকে সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। না হলে কোনো সমস্যাই সমাধান হবে না।’
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে।

বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে, এসব যাত্রীর মধ্যে ৬০ ভাগ আগে যাতায়াত করতেন পাবলিক বাসে। ১৫ ভাগ যাত্রী ব্যবহার করতেন অটোরিকশা, ৭ ভাগ মোটরসাইকেল, ৫ ভাগ রিকশা, সাড়ে ৪ ভাগ প্রাইভেট কার এবং ৬ ভাগ রাইড শেয়ারিংয়ে। আগে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো। মেট্রোরেল তাদের জন্য বয়ে এনেছে বড় ধরনের স্বস্তি। যাত্রীসংকটের কারণে বাস চলাচল অর্ধেকে নেমে এসেছে। সকালের দিকে বেশিরভাগ স্ট্যান্ডে যাত্রীদের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকছে বাসগুলো।

অন্যদিকে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। যাত্রীরা বলছেন, ‘মেট্রোরেল আসায় বাস মালিকদের উচিত শিক্ষা হয়েছে। আগে তারা যাত্রীদের জিম্মি করতেন, এখন যাত্রীই পান না।’ মেট্রোরেলের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বাস মালিকরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যেই বাস সংস্কার, আধুনিক বাস সংযুক্ত করা এবং যাত্রীবান্ধব বাস সার্ভিস চালু করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে ৬টি মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হলেও ৫০ শতাংশ যাত্রীকে বাসেই চলাচল করতে হবে। বাস মালিকদের ওপর সৃষ্ট মোট্রেরেলের চাপ কাজে লাগিয়েছে। এখনই গণপরিবহন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। বাসরুট রেশনালাইজেশন কমিটির মধ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারা বর্তমানে চালু ২৯১ রুট থেকে কমিয়ে ৪২টি করতে চায়। ২৫শ’ বাস মালিকের সমন্বয়ে ৬টি মাদার কোম্পানি এবং বিভিন্ন রুটে ২২টি কোম্পানি গঠন করে চালাতে চায় সুশৃঙ্খল বাস সার্ভিস। ৬টি পৃথক রঙে চলবে সিটির ৬টি আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব বাস সার্ভিস। তারা সিটি ও সিটির বাইরে ১২টি বাস টার্মিনাল করতে চায়।
রেশনালাইজেশন কমিটির চিন্তাটি খুবই সময়োপযোগী। দুই সিটির মেয়রও এমন চিন্তা করেছিলেন। চিন্তা বাস্তবায়নে মালিকদের বাগে আনতে পারেননি। মনে হচ্ছে এখন তারা হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এখন চাপে পড়েছে বাস মালিকরা। তাদের বাগে আনার এখনই সময়। চাইলে সবই সম্ভব হয় এটি প্রমাণ করে গেছেন ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক। মাত্র দুই বছরে তিনি ঢাকা উত্তরে সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

তেজগাঁওয়ের ক্যান্সার হিসাবে পরিচিত বাস টার্মিনাল উচ্ছেদ করেছিলেন। তেজগাঁও-মহাখালী রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করেছিলেন বাসের অবৈধ পার্কিং। বিভিন্ন স্থানে ইউলুপ তৈরি করে কমিয়েছিলেন যানজট। গুলশান-বনানী-বারিধারার রাস্তা সংস্কার করে আধুনিক ঢাকার গোড়াপত্তন করেছিলেন। প্রকল্প গ্রহণ করেছিলের উত্তর সিটির বাকি অংশের। তার প্রয়াণের পর সবই স্থবির হয়ে গেছে। ফিরে এসেছে তেজগাঁওয়ের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। মহাখালী-তেজগাঁও রাস্তা দখল করে নিয়েছে বাসের পার্কিং।

রাত ১০টার পর গোটা রাস্তাটি পরিণত হয় অবৈধ বাস পার্কিংয়ে। কাকলী, বনানী, উত্তরা ভিআইপি রোডের বন্ধ করে দেওয়া রোড ডিভাইডার খুলে দিয়ে অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে ইউলুপ। এই সড়কে ফিরে এসেছে চিরচেনা যানজট।  কেন এমন হয়েছে এটি ভালো বলতে পারবেন উত্তর সিটির মেয়র।
স্মার্ট ঢাকা গড়তে হলে প্রতিষ্ঠা করতে হবে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এই কাজ অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। এখন স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল চালু করে নিশ্চিত করতে হবে আইনের কঠোর প্রয়োগ। রাস্তায় চলাচলকারী বাসগুলোকে আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করতে হবে। সুনির্দিষ্ট করতে হবে বাসস্ট্যান্ডের স্থান। একটি বাসও যেন নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে গিয়ে রাস্তার ওপরে যাত্রী উঠাতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর দিতে হবে।

অটো সিগন্যাল চালু হলে রাস্তার মোড়ে সিগন্যালগুলোতে কর্তব্যরত লোকবল অতিরিক্ত হয়ে যাবে। তাদেরকে ব্যবহার করতে হবে আইনের কঠোর প্রয়োগে। কঠোর নজরদারিতে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে ট্রাফিক পুলিশকে। নগরীর প্রধান সড়কগুলোয় মুক্ত করতে হবে স্বল্পগতির যানবাহন। চালু করতে হবে আধুনিক ট্যাক্সি সার্ভিস। সঠিক ব্যবস্থাপনায় এদের রাখতে হবে কঠোর শৃঙ্খলায়। শব্দ দূষণরোধে কঠোর আইনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় গাড়ির হর্ন বন্ধ করতে হবে।

যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে প্রয়োগ করতে হবে কঠোর আইন। পরিবেশ দূষণরোধে নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি বন্ধ করতে হবে অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। দুই সিটির মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে আধুনিক ও স্মার্ট ঢাকা।

সর্বশেষ - সকল নিউজ