logo
Sunday , 21 January 2024
  1. সকল নিউজ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণ আসছে আমদানি-রপ্তানিতে

প্রতিবেদক
admin
January 21, 2024 9:47 am

দেশে আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে নতুন একটি আইন হচ্ছে, যে আইনে কোনো পণ্য বা সেবা আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার। আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৩ শীর্ষক এ আইনের খসড়াটি তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিসভায় পাঠানোর আগে খসড়া চূড়ান্ত করতে গত সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে একটি সভা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মকর্তারা বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দেশীয় শিল্প নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষেত্র বিশেষ কোনো কোনো পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন পড়বে। ওই প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই আইনটি করা হচ্ছে। নিট পণ্য রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ করছে, সেখানে আমরা পিছিয়ে আছি। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রাক্কালে সরকারের উচিত হবে বাণিজ্য সহজীকরণে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া।

যে আইনই করুক সরকার- তা যেন ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে। খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রস্তাবিত আইনটি অনুমোদন হলে, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এ আইনের অধীনে একজন প্রধান নিয়ন্ত্রক থাকবেন, যিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর আমদানি নীতি আদেশ ও রপ্তানি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবেন। আমদানি ও রপ্তানিকারকদের নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন ও সনদ ইস্যু করবেন। কোনো পণ্য আমদানি ও রপ্তানির আগে এই দফতর থেকে অনুমতি এবং ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে রপ্তানিকারকদের। আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত বিরোধও নিষ্পন্ন করবে এই দফতর। নিবন্ধন সনদ, ছাড়পত্র এবং অনুমতিপত্র ছাড়া কেউ কোনো পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবেন না। এ আইন অনুমোদনের পর সরকার একটি বিধিমালা জারি করবে, যে বিধিমালার আওতায় দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালিত হবে। এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার অভ্যন্তরীণ ব্যবহার, গুদামজাতকরণ অথবা বিদেশে পাঠানোর জন্য যে কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ, নিষিদ্ধ বা শর্তারোপ করতে পারবে।

আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, ব্যাংক-বীমা, সিএন্ডএফ এজেন্ট অথবা যে কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি বিষয়ক যে কোনো তথ্য-এ আইনে গঠিত দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী দিতে বাধ্য থাকবে। দেশে আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর রয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানি সম্প্রসারণে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও নতুন আইনের মাধ্যমে পৃথক আরেকটি দফতর গঠনের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি বাধার মুখে পড়ে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রস্তাবিত আইন নিয়ে কোনো ধরনের সংশয় থাকা উচিত নয়। এটি নতুন কোনো আইন নয়, ১৯৫০ সালে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের যে আইন ছিল ইংরেজিতে, সেটিই বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে; উপরন্তু কিছু ক্ষেত্রে আইনটিকে বাণিজ্যবান্ধব করা হয়েছে। আগে রপ্তানির জন্য আমদানি সনদের মেয়াদ ছিল এক বছর। ফলে প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের পুনর্নিবন্ধন গ্রহণ করতে হতো। এটির মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ