আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীদের হত্যার পরিকল্পনা করছে বিএনপি- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সংলাপের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর তা ভেবে দেখা হবে।শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ভোট থেকে সরে গেছে। পদযাত্রা থেকে তারা পশ্চাৎযাত্রা শুরু করেছে। বিএনপি স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে। তারা ভয়ংকর গুপ্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর ফাঁদে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেউলিয়া হয়ে তারা লিফলেট বিতরণের আন্দোলনে নেমেছে। সকল আন্দোলনে বিএনপি ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মানুষ ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিএনপি যতই অপপ্রচার করুক, মানুষ তাদের কথায় কান দেবে না। ২০২৪ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন গণতন্ত্রের ধারা শুরু হবে।
এছাড়াও নির্বাচনের পর বিএনপির সাথে সংলাপ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কোনো প্রার্থী সংঘর্ষে জড়ালে তার দায় দল নেবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অন্যান্যরা।