বিএনপির রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে মা ও ছেলের লড়াই বেড়েই চলেছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে শীর্ষ দুই নেতৃত্বের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানে দিশেহারা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমনিতেই প্রায় দু-দশক তারা ক্ষমতার বাইরে। ক্ষমতায় ফেরার তেমন কোনো লক্ষণও নেই ক্যান্টনমেন্টে জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত দলটির।
নেতাকর্মীদের হতাশার মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিবাদ তাদের আরও সংকটে ফেলেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের মধ্যকার লড়াই দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্যে। এ লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব।
আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তারেকপন্থীরা নির্বাচনে না যেয়ে বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন বানচাল করতে চায় তারা। কিন্তু খালেদাপন্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আর এ দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে একটি পক্ষ স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি ছাড়ছে। ইতোমধ্যে বিএনপির অনেক হেভিওয়েট নেতাই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যাবতীয় কার্যসম্পাদন করেছে।
খালেদাপন্থী নেতারা মনে করছেন- দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানসহ তার অনুসারীরা নির্বাচন বানচালে সর্বোচ্চ সহিংসতা চালাতে চায়। কিন্তু সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। এমনভাবে আন্দোলন সহিংসতা চালালে জনগণই বিএনপিকে বয়কট করবে।