অবরোধ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব মাসুম। তার নেতৃত্বে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ভিডিও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ পাঠাতেন। ২৯ অক্টোবরও চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেন মাসুম।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহণ, ব্যক্তিগত পরিবহণসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালানো হয়। এসব নাশকতা ও সহিংসতার সিসিটিভি ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাব এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা এবং ১৫টি মামলার পলাতক আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব মাসুম এবং তার সহযোগী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।