logo
Sunday , 12 November 2023
  1. সকল নিউজ

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আগামী ১৪ নভেম্বর

প্রতিবেদক
admin
November 12, 2023 10:18 am

চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ‘মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ফ্লাইওভার’ উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ১৪ নভেম্বর। এদিন এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলেও এতে গাড়ি চলাচল শুরু করতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটেই নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় নগরীতে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।

“এখনও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার হলেও এর পুরো কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের কিছুদিন পর বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বাকি কাজ চলমান আছে। এটি চালু হলে নগরীতে যানজট অনেকটাই কমে আসবে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “শুরুর দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪টি র‍্যাম্প থাকার কথা থাকলেও এখন হবে ১৪টি। এখনও র‍্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। উদ্বোধনের পর এই নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে এখন লালখান বাজার থেকে যেসব যানবাহন বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করবে শুধু সেগুলো উঠতে পারবে। মাঝখানে নামার সুযোগ নেই।”

এছাড়া,  এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এখন কোনো প্রকার টোল আদায় করা হবে না। পুরোপুরি নির্মাণের পর টোল আদায় করা হবে বলে জানান তিনি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, “বর্তমানে মূল ফ্লাইওভারের প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে আমরা মূল ফ্লাইওভার চালু করবো। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এর কিছুদিনের মধ্যেই টাইগারপাস থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আমরা মূল ফ্লাইওভার জনসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।”

সিডিএ সূত্র জানায়, নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিন বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এ দফায় সময় বেড়েছে এক বছর। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

একই সময়ে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা করা হয়। সিডিএর এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র‍্যাংকিন।

প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের, ৫৪ ফুট প্রশস্ত এবং চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ১৪টি র‍্যাম্প। এরমধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় থাকবে দুটি র‍্যাম্প।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত