logo
Wednesday , 25 October 2023
  1. সকল নিউজ

বিএনপির আমলে বাংলাদেশের লুটপাটের চিত্র কেমন ছিল?

প্রতিবেদক
admin
October 25, 2023 4:22 pm

২০০১ থেকে ২০০৬। সময়টা মাত্র ৫ বছর হলেও এর পরিধি অনেক বড়। যার ভুক্তভোগী গোটা বাংলাদেশ। এক চরম দুঃসময়ের বাংলাদেশ গেছে ওই পাঁচটি বছরে। দুর্নীতি, লুটপাট, মঙ্গা, ক্ষুধা, দারিদ্র, শিক্ষাঙ্গনে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ, অস্ত্রের ঝনঝনানিসহ বাংলাদেশ ছিল এক ভয়ানক অন্ধকারে! যে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নতুন আলোর পথে চলছে সোনার বাংলা।

উন্নয়নের চিত্র যখন ফুটে উঠেছে, তখন অনেকেই আমরা ভুলে গেছি সেদিনের সেই দুঃশাসনের সব ইতিহাস। তবে খুব সহজেই ভুলতে দেবো না বিশ্বের কাছে লজ্জিত হওয়া বাংলাদেশের ঘটনাগুলো। যেসব লজ্জা রচিত হয়েছিল খালেদা-নিজামী, তারেক-হারিস, বাবর-মামুন, ফালু-আব্বাসদের কলঙ্কিত হাতে।

বিদ্যুতের নামে শুধু খাম্বা পুঁতেই কোটি কোটি টাকা লুট করেছিলো তারেক রহমান। বিদ্যুৎ, পানি ও সারের অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছিলো। খাদ্য ঘাটতি থাকতো প্রতিবছর। শুধু তাই নয়, প্রতি মৌসুমে প্রায় ২ কোটি মানুষ মঙ্গা-দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছিলো।

খাম্বা স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে বিএনপি নেতা তারেক রহমান। ফলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর বিদ্যুৎ সঙ্কট বাড়তে থাকে।বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয় কলকারখানা, এমনকি প্রচণ্ড গরমেও পানির সঙ্কটে চরম ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ।

প্রশাসনে ছিল নিয়োগ বাণিজ্য। ‘টাকা দিলেই মিলবে চাকরি’ এই ছিল বিএনপির নীতি। আর পুরো টাকাটাই যেতো বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও কোকোর গোপন একাউন্টে। সেখান থেকে কিছু টাকা দেওয়া হতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এমন অনেক ঘটনার নজির রয়েছে- কয়েক লাখ টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি এবং টাকাও ফেরতও দেয়া হয়নি। তবে অন্ধকারের সেই সময় থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।

একটি খুনের ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার কাছে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। নিজের পুতুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরকে দিয়ে এই লেনদেন চালিয়ে যায় খালেদা। আর সেই টাকার পুরোটা দাবি করেছিলেন বর্তমানে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাটের কারণে বিশ্বব্যাংক বিএনপির কাছ থেকে টাকা ফেরত চেয়েছিল। আর ট্রান্সপারেন্সির সূচকে ওই আমলের টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। গোটা বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছিল এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশ হিসেবে। যার রেষ এখনো কোথাও কোথাও রয়ে গেছে।

তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দুঃশাসনের সেই সময়গুলো পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। বর্তমান সরকারের সুশাসনে বাংলাদেশকে নতুনভাবে চিনছে বিশ্ব। তাই আসন্ন নির্বাচনের আগে সিদ্ধান্ত নিন বুঝে-শুনে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ