logo
Wednesday , 4 October 2023
  1. সকল নিউজ

উন্নয়নে অনন্য উচ্চতায় দেশ

প্রতিবেদক
admin
October 4, 2023 9:26 am

পাল্টে যাবে দেশের চিত্র। এ যেন উন্নয়নের জাদুর কাঠির ওপর ভর করে তরতর করে এগিয়ে চলা। পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)সহ রাজধানীতে অসংখ্য ফ্লাইওভার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছে।

যাত্রীদের বিশ্বমানের সেবা ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগামী শনিবার চালু হচ্ছে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক। ধারণা করা হচ্ছে পিছিয়ে থাকা দেশের এভিয়েশন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন পাবে এই টার্মিনাল। শুধু বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালই উদ্বোধন নয়; আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার চলমান বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাচ্ছে চলতি অক্টোবরে। এ মাসেই চালু হবে কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল, পদ্মা রেল সেতু, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেল লাইন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশসহ একগুচ্ছ প্রকল্প। এ ছাড়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটির কিছু প্রকল্প। এর ফলে সহজ হবে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা। বাড়বে কর্মসংস্থান। খুলবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একে একে খুলে দেয়া হবে বড় প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প চালু হওয়াকে নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দেখছেন আগামী নির্বাচনে বিজয়ের ট্রাম্প কার্ড হিসেবেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৃশ্যমান এসব উন্নয়ন প্রকল্প তরুণ ভোটারদের যেমন আকৃষ্ট করবে তেমনি এ অর্জনগুলো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়ও সুবিধা পাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। সারা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সে কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের জয় হবে। মানুষ উন্নয়ন দেখছে। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ৭০ শতাংশ মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে।

সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অনেক বড় প্রকল্প হাতে নেয়। সেগুলোর অনেকটার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। এর মধ্যে আছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলসহ নানা প্রকল্প। এ মেগা প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পাশাপাশি ওই সব এলাকায় সুধী সমাবেশের আড়ালে জনসভাও থাকবে আওয়ামী লীগের। টানা ক্ষমতায় থাকলে যে উন্নয়ন হয় সে বার্তা দেয়া হবে। উন্নয়ন উপহার দিয়ে আগামী দিনেও যেন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকে সে আহ্বান জানানো হবে দেশবাসীর প্রতি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। এই টার্মিনালে থাকবে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ। ১৫টি সেলফ সার্ভিসসহ বহির্গমনের জন্য থাকবে মোট ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার। এ ছাড়াও থাকবে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট। এই টার্মিনালকে ঘিরে এরই মধ্যে বিশ্বের ৩১টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ঢাকা থেকে তাদের ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সাত অক্টোবর এই টার্মিনালের সফট লঞ্চিং বা আংশিক উদ্বোধনের আশা রয়েছে। ওই দিন রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান নতুন টার্মিনালটি যাত্রীদের বিশ্বমানের সেবা দেবে বলে আশা করছেন। তবে আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হওয়ার জন্য। টার্মিনাল অপারেশনে ব্যবহৃত সরঞ্জামের প্রয়োজনীয় ক্যালিব্রেশন এবং প্রস্তুতির কারণে এই সময়ের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন মফিদুর রহমান। যদিও আংশিক উদ্বোধনের পর তৃতীয় টার্মিনালের নতুন পার্কিং অ্যাপ্রোন ও ট্যাক্সিওয়ে ব্যবহার করতে পারবে এয়ারলাইন্সগুলো। পুরাতন দু’টি টার্মিনালের অ্যাপ্রোনে বর্তমানে ২৯টি উড়োজাহাজ থাকতে পারে। মফিদুর রহমান বলেন, ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হলে একসঙ্গে মোট ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। একই সঙ্গে মেগা প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। টার্মিনালের কাঠামো প্রস্তুত রয়েছে এবং বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে কাজ চলছে।

সূত্র মতে, এয়ারলাইন্স লাউঞ্জ, ডেরুম, মুভি লাউঞ্জ, শিশুদের জন্য প্লে-জোন এবং ফুড কোর্ট যাত্রীদের চাহিদা ও স্বাচ্ছন্দ্য পূরণ করবে। প্রখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিনের নকশায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি ৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ পেতে যাচ্ছে জাপান। নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিৎসুবিশি, ফুজিটা ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর আগে বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করার দিকে নজর রাখছে, যা দেশের এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সুইস এয়ার, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্সসহ অন্তত ১৫টি নতুন বিদেশি এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেবিচকের মতে, নতুন টার্মিনালে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, ডিউটি ফ্রি শপ ও বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে।

৪১ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জুড়ে দু’টি এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে রয়েছে, যাতে কোনো উড়োজাহাজ অবতরণের পর দ্রুত রানওয়ে ছেড়ে যেতে পারে এবং এটি উড্ডয়ন বা অবতরণের জন্য অন্যান্য উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে পারে। নতুন টার্মিনালে ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য একটি বড় লাউঞ্জ বছরে ৪০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে দু’টি পুরনো টার্মিনালের সাথে নতুন টার্মিনালকে সংযুক্ত করার জন্য একটি করিডোর নির্মাণ করা হবে।

অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কাস্টমসের জন্য একটি হল ও ছয়টি চ্যানেল থাকবে। টার্মিনালটিতে ৩৬৫০ বর্গমিটার এলাকা থাকবে ভিআইপি যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য। শাহজালাল বিমানবন্দরের দু’টি টার্মিনাল বর্তমানে ৩০টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রীকে পরিষেবা দেয়। বর্তমানে যাত্রীদের বিমানবন্দরে ম্যানুয়াল সিকিউরিটি চেক করা হয়। এটি ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা চেকের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হবে, যাত্রীরা বিমানে না ওঠা পর্যন্ত স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে।

বেবিচকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হলে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া ও ভ্রমণের সুযোগ করে দেবে। মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ভূগর্ভস্থ টানেল ও ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে যাতায়াতের সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

আরেক মেগা প্রকল্প পদ্মা রেল সেতু। অপেক্ষা ফুরোচ্ছে দক্ষিণের ট্রেন যাত্রীদের। এই রেল সেতুতে পাথরবিহীন রেল লাইন প্রস্তুত। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে এই লাইন দিয়ে ছুটবে ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন আগামী ১০ অক্টোবর। পদ্মা সেতুর মতোই এটির উদ্বোধনও হবে জমকালো। অবশ্য ইতোমধ্যে সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে। ওই দিন পদ্মার দুই পাড়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

এদিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম ধাপের পর এবার শুরু হচ্ছে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল। এর মধ্যদিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রো সুবিধা পেতে যাচ্ছে নগরবাসী। উত্তরা থেকে মাত্র ৪০ মিনিটেই মতিঝিল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন যাত্রীরা। ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ওই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেল। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশের ১৮ দশমিক ৩১ মিটার গভীরে; দেশের প্রথম এই টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম শহরের সাথে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করবে টানেলটি। টানেলের ভেতর থাকছে ৪ লেনের সড়ক। এটি কেবল কর্ণফুলীর দুই পাড়কে যুক্ত করছে না বরং এর মাধ্যমে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউনের মডেলে গড়ে উঠবে শহর। এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম টানেল। এ উপলক্ষে কর্ণফুলী নদীর অপর পাড় আনোয়ারায় জনসভা করবে সরকারি দল। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ টানেলটি হয়ে উঠবে ‘দুই শহরের এক নগরী’ এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হওয়া প্যাসেজওয়ে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে আংশিকভাবে মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২ শতাংশের বেশি বাড়বে।

এছাড়া চলতি মাসেই ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি রেল সংযোগও চালু করার জোর চেষ্টা চলছে। কক্সবাজার রেলস্টেশনকে দেশের প্রথম আইকনিক স্টেশন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। এতে পর্যটক ও যাত্রীদের যাতায়াতব্যবস্থা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি অংশ খুলছে অক্টোবরে। যার মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। অন্য বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন উদ্বোধনের তারিখ ঠিক হয়নি।

তবে প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে আখাউড়া-আগরতলা ও খুলনা-মোংলা রেল লাইন। যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজও প্রায় শেষ। মেট্রোরেল লাইন-৫ নর্দান রুটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে অক্টোবর মাসে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা পিছিয়েছে। এ ছাড়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এ এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত। অত্যাধুনিক এ এক্সপ্রেসওয়েতে নেই কোনো স্টপওভার পয়েন্ট, সিগন্যালিং সাইন কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা। একটি গাড়ি বাধাহীনভাবে পাড়ি দেবে ৬-৭ মিনিটে ১২ কিলোমিটার পথ। এটিই দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক। যার ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে। এটিকে বলা হচ্ছে ঢাকার নতুন গেটওয়ে। নান্দনিক এই সড়ক ধরে তৈরি হচ্ছে নতুন স্যাটেলাইট নগর।

দলটির নেতারা বলছেন; অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও উন্নয়নের প্রতীক হবে নৌকা। নির্বাচনের আগে প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এ ধরনের মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন জাতির একটা উৎসবের বিষয়। এ কারণে প্রথাগত যে আনুষ্ঠানিকতা থাকে তার বাইরেও আমরা ব্যাপক সমাগমের মধ্যদিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, ’৭০-এর নির্বাচনে নৌকা যেমন ছিল স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক। এবার নৌকার প্রতীক হলো উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তির প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। জনকল্যাণে নেয়া এসব প্রকল্পের বিষয়ে জনগণকে জানাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোও সারাদেশে আলাদা জনসভা করবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ