মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম না থাকায় বিরোধী শিবিরের রাজনীতিতে চলছে তীব্র হতাশা। ফলে নানাভাবে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়ে গুজব-অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরসহ সমমনা বিরোধীজোট।
এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে খোলা ফেইক পেইজ থেকে অপপ্রচার চালানো হয় যে তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক এন্ড টেকনোলোজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন’। যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও মানহানিকর। এর দ্বারা ওই গুজবগোষ্ঠী একজন আইসিটি বিশেষজ্ঞকে অযোগ্য প্রমাণ করতে চেয়েছিলো।
মূলত নামে ওই পেইজ দুটি আওয়ামীমনা মনে হলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিলো সরকার ও রাষ্ট্রকে বেকায়দায় ফেলা ও কুৎসা রটনা করা। এর মাধ্যমে খুব সূক্ষ্মভাবে তারা সরকারকে হাসির পাত্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো দেশবাসীর সামনে। কিন্তু গুজবটি দ্রুত সমানে চলে আসায় সেটিকে ফ্যাক্টচেকের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়। বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে গুজব বলে চিহ্নিত করা হয়।
এ নিয়ে বিজ্ঞজনরা বলছেন, সজিব ওয়াজেদ জয়ের যোগ্যতার কাছে কোনোভাবে পেরে ওঠে না দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াত। জয় তার নিজস্ব যোগ্যতায় আজ দেশ ও দেশের বাইরে সুপরিচিত ও সমাদৃত। আর সেই জন্যই তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী চক্র লাগাতার নোংরা অপপ্রচার গুজব ও নানান ষড়যন্ত্র করে তার সুনাম সুখ্যাতি ও অর্জনকে বিতর্কিত এবং ছোট করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
একই সঙ্গে তারা নেটিজেনদের অনুরোধ করেন, না জেনে না বুঝে সজীব ওয়াজেদ জয় সংক্রান্ত কোন তথ্য শেয়ার করার আগে অথনেটিক সোর্স থেকে তথ্যটির সত্যতা জেনে তারপর শেয়ার করাই শ্রেয়।