গণঅধিকার পরিষদ গঠন হতে না হতেই ভেঙে দুটি অংশ হয়েছে। যার একাংশের নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুর। ইহুদি এজেন্ট হিসেবে এই নুর কিছুদিন আগেও মাঠে-ময়দানে গর্জে উঠতেন মাইক হাতে। সরকারের সমালোচনা করে মুখে ফেনা তুলতেন। কিন্তু হঠাৎই চুপসে গেছেন তিনি।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে এখন আর গর্জে ওঠেন না নুর। যেন কমে গেছে তার তেজ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নুরের তহবিলের অবস্থা খুব একটা ভালো না। ফুলে ফেপে থাকা পকেট যেন ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কমেছে দলের ফান্ডও। দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া কমিটি থেকে এখন আর আগের মতো কালেকশনও হয় না। তাছাড়া বিদেশিদের এজেন্ট হয়ে কাজ করার তথ্য ফাঁস হওয়ায় সেখানকার আর্থিক সুবিধাও আসা বন্ধ হয়েছে।
বিশেষ করে দুটি অংশে ভাগ হওয়ায় টাকাও এখন দুই তহবিলে যাচ্ছে। রেজা কিবরিয়ার অংশ এখন আর নুরের অ্যাকাউন্টে আসে না। আর বিভিন্ন ডোনাররা নুরকে সৎ ভেবে যে টাকা দিতো, ইসরায়েলি গোয়েন্দার সঙ্গে সাক্ষাদের পর তারাও টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে।
নিজের দুর্নীতির এসব গোপন খবর যখন ফাঁস হয়েছে, চারিদিকে যখন নুরের কীর্তি কালাপ এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন আর সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে না। দলের নেতারাই তাকে বলছে- চোরের মায়ের বড় গলা।
আপনার মতামত লিখুন :