স্মার্ট বাংলাদেশ হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর সামিল। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমাদের দেশের মোট ভোটারের প্রায় ২২ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। আন্তর্জাতিক এক গবেষণা বলছে, এই প্রজন্মের তরুণরা অনেকটাই রাজনৈতিক সচেতন, প্রযুক্তিনির্ভর আর তারা নিজেদের অনেক বেশি বৈশ্বিক নাগরিক মনে করে।
এক সময়ে বাংলাদেশের তরুণরা রাজনৈতিক বিমুখ ছিল। বিএনপি জামাতের জোট সরকারের শাসনামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদল-শিবিরের অস্ত্র, বোমা, ককটেলের মহড়া কিংবা সারাদেশে হাজারো গুম-খুন, সংখ্যালঘুদের উপরে সহিংসতা, দূর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়নসহ, জঙ্গিবাদের উত্থান এ সবকিছুই তরুণদের রাজনৈতিক বিমুখ থাকার অন্যতম কারণ।
সময়ের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন বদলের হাওয়া নিয়ে এলেন স্বপ্নীল শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিন বদলের সনদ স্লোগানে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেন তিনি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেয়া, মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, হাইটেক পার্ক, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, খরস্রোতা পদ্মার বুকে দ্বিতল পদ্মা সেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, ঢাকায় মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এ সবকিছুই ছিল তরুণদের প্রাণের দাবী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় তরুণদের সামিল করতে এবার তিনি নিয়ে এসেছেন “স্মার্ট বাংলাদেশ ” কনসেপ্ট। যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর উদাহরণ।আর এই স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষেই তরুণ প্রজন্ম একসাথ হয়ে যেনো সুর বেঁধেছে উচ্চকিত কণ্ঠে ” মুভ ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ। ”
আপনার মতামত লিখুন :