‘২০০৬ সালে ভুয়া ভোটারের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বিএনপি ও জামায়াত’


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২৩, ১১:১০ পূর্বাহ্ন | 525
‘২০০৬ সালে ভুয়া ভোটারের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বিএনপি ও জামায়াত’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টটিতে তিনি একটি তথ্যচিত্র সংযুক্ত করে দেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশের সর্বস্তরের মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, দুর্নীতি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে বিএনপি-জামায়াত জোট। এমনকি তাদের এই পাঁচ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হয় জনমনে।

১ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ওই তথ্যচিত্রে তৎকালীন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যোগ করে বলা হয়, ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকা করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত। ২০০১ সালে ইতিহাসের ভয়াবহ সহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামাত জোট। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় দেশজুড়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও হত্যা, চাঁদাবাজি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে তারা। এমনকি তাদের এই পাঁচবছরের শাসন আমলে বাংলাদেশ টানা ৫বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।

মূলত ক্ষমতার যাচ্ছেতাই ব্যবহারের ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি জনমনে তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয় বলে জানানো হয় এই পোস্টে। এ কারণে আবারও গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভীত হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত নেতারা।

তথ্যচিত্র বলা হয়, এমন এক পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আরও অপব্যবহারের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে তৈরি করে তাদের নিজস্ব সংশোধিত ভোটার তালিকা।

সেখানে আরও দেখানো হয় কিভাবে প্রতিটি উপজেলায় নিজ দলের ক্যাডারদের নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএনপি জামায়াত গোষ্ঠী। কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি তালিকার মাধ্যমে এই নিয়োগ দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করে খালেদা জিয়া সরকার।

সংবিধানের তোয়াক্কা না করে ৩০০ ছাত্রদল ক্যাডারকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বিএনপি জামায়াতের নিয়োগ প্রদানের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। তথ্যচিত্রে সে সময়কার বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে এ মন্তব্য করা হয়।