বিএনপির মায়া কান্নায় কেউ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গেল ১৫ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনছি, আন্দোলন দেখছিও। তিন তিনটা নির্বাচন এরই মধ্যে হয়ে গেছে।
কিন্তু তাদের আন্দোলনের কোনো ফল হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে, যে ধরনের অপরাধ বিএনপি অতীতে করেছে তা দেশের মানুষ কেউ ভুল যায়নি। তাই বিএনপির আন্দোলনে মানুষ সাড়া দিচ্ছে না।সম্প্রতি রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চ থেকে অনেক কথা বলা হবে, কিন্তু জনগণ গ্রহণ করছে কী করছে না সেটিই হচ্ছে বড় কথা। আমরা দেখতে পাচ্ছি সংবিধানের ধারাবাহিকতায় জনগণ বিশ্বাস করে। এর কারণ জনগণ ধারাবাহিকতার সুফল পাচ্ছে। অতীতে অনেক শিক্ষা হয়েছে। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের দৃষ্টি সব সময়ই সংবিধানের দিকে। আর বিদেশিরা কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নিতে পারে। ’
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের চাপ প্রশ্নে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। আমেরিকা আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তেমনই। আমাদের যে গার্মেন্টস শিল্প, ইউরোপের সঙ্গে এই ব্যবসাটা হয়। কাজেই আমাদের অনেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। একসঙ্গে থাকতে গেলে অনেকেই অনেক ধরনের কথাবার্তা বলবে। কিন্তু সংবিধান যা বলে আমরা সেভাবেই চলব। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আমেরিকা যতই আসুক তারাও কিন্তু সংবিধানের বাইরে কথা বলেনি। ’
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের স্মার্ট শিক্ষার্থীরাই অদূর ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষ থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটাই প্রকৃত শিক্ষা নয়, ক্যাম্পাস ও ইতিহাস থেকে যে শিক্ষা নেবে সেটাই প্রকৃত শিক্ষা। দেশে একটি মহল সবসময় ইতিহাস বিকৃতির পাঁয়তারা করছে। তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফয়জারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. এম সাইদুর রহমান খান, মহাসচিব এ কে এম কামরুজ্জামান খান, প্রধান স্থপতি আর্কিটেক্ট প্যাট্রিক ডি রোজারিও, নির্বাহী পরিচালক শামীম আহসান পারভেজ, উপ-উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহা।
আপনার মতামত লিখুন :