logo
Tuesday , 4 July 2023
  1. সকল নিউজ

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল

প্রতিবেদক
admin
July 4, 2023 11:20 am

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের রাতে সাক্ষাৎ না করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন ঠাকুরগাঁওয়ে চলে গেলেন, তা নিয়ে রাজনীতিতে রহস্যের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কি তাহলে বিএনপি মহাসচিবের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। গতকালকে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতির পর এই নিয়ে বিএনপির মধ্যে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, এটা এক ধরনের ধৃষ্টতা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন, এটি তারই একটি অংশ বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন।

অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ বাজে কথা, বিএনপি মহাসচিব যে ঈদে ঠাকুরগাঁওয়েই থাকবেন, এটি পূর্ব নির্ধারিত ছিল এবং এ ব্যাপারটি তিনি আগেই দলের চেয়ারপারসনকে অবহিত করেছিলেন। দলের চেয়ারপারসনের অনুমতি নিয়েই তিনি তার নির্বাচিত এলাকায় ঈদ উদযাপন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের একাধিক নেতা এ ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এসব বক্তব্যের পেছনে কোনো রকম যুক্তিসংগত কারণ নেই। বেগম জিয়ার কাছে যদি অনুমতি চান, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি অনুমতি দিবেন। কিন্তু এটি কতটুকু শিষ্ঠাচার সম্পন্ন, এটি নিয়ে বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন ওঠেছে। তারা বলেছেন, যদি বিএনপি চেয়ারপারসন অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন যে, তার সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে অন্যান্য কর্মসূচি বাদ দিয়ে তার উচিৎ ছিল বেগম খলেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করা। এ সময় তার সাক্ষাৎ না করাটা ছিল এক ধরনের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এ বৈঠকে ইচ্ছা করেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুপস্থিত ছিলেন। তারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক তৎপরতা, তারেক জিয়ার রাজনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া দু’জন দুই মেরুতে অবস্থান করছেন, বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ এবং তিনি তার উন্নত চিকিৎসার জন্য, যে কোনো মূল্যে বিদেশে যাওয়ার পক্ষে। অন্যদিকে তারেক জিয়া, এখন নির্বাচন নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এই নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পুত্রের এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে- এটিও সকলের জানা আছে। আর এ কারণেই তারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মনোভাব জানেন জন্যই ফখরুল ইচ্ছা করেই বেগম খালেদা জিয়াকে এড়িয়ে গেছেন এবং এ কারণেই তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়ার এক ধরনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতেই বেগম খালেদা জিয়াকে এড়িয়ে গেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু কোনো কোনো মহল মনে করেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সুশীলরা একটা তৎপরতা চালাচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে বিএনপির কোনো পক্ষেই নন, বরং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সুশীলদের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছেন। আর এ কারণেই তিনি এখন ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আর এ কারণেই তিনি খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেননি। তবে খালেদা জিয়ার সাথে তার ঈদের দিন সাক্ষাৎ না করা নিয়ে, বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত