logo
Sunday , 14 May 2023
  1. সকল নিউজ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি শুরু, বেড়েছে বাতাস ও পানির উচ্চতা

প্রতিবেদক
admin
May 14, 2023 9:56 am

বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতিমধ্যে এর প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতি ও পানির উচ্চতাও। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। রোববার (১৪ মে) ভোর থেকেই এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় এর গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এর আগে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার দিবাগত রাত ২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হবে। রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

সেন্ট মার্টিন থেকে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ সেখানে বিদ্যুৎ নেই। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অন্ধকারে বসে আছেন। মোবাইল ফোনের চার্জও প্রায় শেষের পথে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি আছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ