দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন – আরেকটি ইতিহাস, আরেকটি স্বপ্ন জয়ের হাতছানি


rakibul প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩, ১২:৩৮ অপরাহ্ন | 450
দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন – আরেকটি ইতিহাস, আরেকটি স্বপ্ন জয়ের হাতছানি

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। একসময় হংকং টু চীন পাতাল রেলে ভ্রমনকালে নিজ দেশের জন্য স্বপ্ন দেখেছিলাম ! আজ সেই রোমাঞ্চকর স্বপ্ন সত্যি হলো! স্বপ্ন ছুঁয়েছে বাংলাদেশ এইবারে পতাল রেল!  এই প্রথম বাংলাদেশের যোগাযোগের ব্যবস্থায় নতুন এক মাইলফলক  চালু হচ্ছে, পাতাল রেল যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য এই স্বপ্ন  বাস্তবায়ন হচ্ছে।

বিএনপির দল এখন দেখবে পাতাল রেল-তারা জ্বলবে !! যা খুশি করুক – আর আমরা ঢুকে যাব স্বপ্ন যুগে!  যখন মেট্রোরেলের উদ্বোধন হলো বিএনপি বলেছিল — এ আর এমন কি? এর চাইতে কম পয়সায়, কম সময়ে নাকি ট্যাক্সি ক্যাবে যাওয়া যায়। বিএনপি যখন দেখল ৮ মিনিটে আগরগাঁও হতে দিয়াবাড়ী যাওয়া যায় – আর শয়তানের দল বিএনপি চুপসে গেল।

বিএনপি অভিশাপ দিয়েছিল দেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে। বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না, মেট্রোরেল হবে না, পাতাল রেল হবে না। কিন্তু তাদের অভিশাপই আমাদের আশীর্বাদ। বিএনপি বলেছিল পদ্মা সেতু হবেনা। হয়ে গেছে। পরে অলক্ষীরা বললো হলেও ভেঙ্গে যাবে। বাস্তবে দিব্যি সব চলছে। তারা নিজেরাও সেলফি তুলছে।

দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন কর্ণফুলী নদীর নীচ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্হা করলো/ কক্সবাজারে আইকনিক রেল স্টেশন স্হাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল, তখনও অলক্ষীরা নানামুখী আকথা-কুকথা বলেছে। কিন্তু এর একটা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়, আরেকটার কাজ প্রায় শেষ।

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ হল।  বিশ্বব্যাংকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ার পথে। এখন স্বপ্ন মাটির নীচের পাতাল রেল। পাশের দেশ ভারতের কোলকাতাসহ বিশ্বের বহু মহানগরীতে যানজট কমানো এবং নাগরিকদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে মাটির নীচ দিয়ে পাতাল রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল হচ্ছে ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত। উত্তরা-মতিঝিল-কমলাপুরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে এমআরটি লাইন-৬। এর পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এ অংশে থাকবে ১২টি পাতাল স্টেশন। পাতাল অংশ ছাড়াও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত তৈরি করা হবে আরো ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার উড়াল মেট্রো। বিমানবন্দর-কমলাপুর ও নতুনবাজার-পূর্বাচলের মধ্যে নির্মিত মেট্রোরেলটি চিহ্নিত করা হয়েছে এমআরটি-১ নামে। লাইনটি তৈরি করতে খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।

নতুনবাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। এই ইন্টারচেঞ্জ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে। পাতালপথে কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, হাতিরঝিল, রামপুরা, পূর্ব হাতিরঝিল, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুনবাজার, নদ্দা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দরে স্টেশন থাকবে। প্লাটফর্মে ওঠানামার জন্য উভয় পথের স্টেশনে থাকবে লিফট, সিঁড়ি ও এস্কেলেটর। এ ছাড়া নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন আন্তঃসংযোগ রুট ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে।

বাংলাদেশও সেই পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নিত্য যানজট থেকে মুক্তি পেতে রাজধানীর ঢাকার মানুষের এটাই এখন স্বপ্ন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) রাজধানী ঢাকায় ৬টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩৩.৫৭ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ঢাকার গাবতলী ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ও বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক কাজের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাতাল রেল মাটির কমবেশি ৩০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে এর নির্মাণকাজ চালানো হবে।

বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সূচনা করবে পাতাল রেল। দিয়ে। এতোদিন শুধু বিদেশে মাটির নীচ দিয়ে রেলগাড়ি যায় বলে গল্প শুনেছি। পাতাল রেল এখ স্বপ্ন নয় বাস্তব।