নিউজ ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই বাস্তবতায় খালেদা জিয়ার কিছু পরীক্ষা এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়া কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন সে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন দল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্যরা রাজধানীর দুটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। একটি হলো ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং অন্যটি হলো এভারকেয়ার হাসপাতাল (সাবেক এপোলো হাসপাতাল)।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে রেখে কিছু ইনজেকশন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন হতে পারে। তার তিনটি প্রধান সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সুগার ১৬ উপর থাকছে। দ্বিতীয়ত, তার পায়ের ব্যথা অনুভূতি বলেছেন চলাফেরা করতে পারছেন না। তৃতীয়ত, বেগম খালেদা জিয়ার স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যে মানবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছিলেন তার জন্য বিএনপির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত ছিল। তা না করে তাকে কীভাবে সরিয়ে দলের ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করা যায় সেই চিন্তা করছেন বিএনপির নেতারা।
তবে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া কোন হাসপাতালে ভর্তি হবেন সেটা নির্ভর করছে তার মনোভাব এবং পরিবারের সিদ্ধান্তের উপর।