নিউজ ডেস্ক
: অর্থ পাচার মামলায় ৭ বছর ও দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামি বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও ক্যাসিনো সম্রাট তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই এগিয়েছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)। চিহ্নিত এই দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চিন্তা ভাবনা করছে ইন্টারপোল।
জানা গেছে, এর আগেও বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুরোধে শাস্তির মুখোমুখি করতে তাকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলো ইন্টারপোল। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের মার্চের ২১ তারিখে সংস্থাটি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য রেড নোটিশ জারি করেছিলো। এবার হেফাজতে ইসলামের ভাস্কর্য অপসারণ ইস্যুতে সরাসরি তারেক রহমানের ইন্ধনের খবর পাওয়ার জেরে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে ইন্টারপোল।
জানা যায়, তারেক রহমানের কল রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে ইন্টারপোল জানতে পারে, বিগত ছয় মাসে মামুনুল হক ও বাবুনগরীসহ সর্বমোট ১৭ হেফাজত নেতার সঙ্গে একাধিকবার কথা হয় তারেক রহমানের। যে সব কথায় শুধুমাত্র ধর্মীয় উস্কানি বিদ্যমান ছিল, ইন্টারপোল তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্যের জন্য বিপদজনক মনে করে তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার পক্ষে মত দেয়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক বলেন, মূলত যুক্তরাজ্য স্যাকুলার দেশ এবং সকলের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে। ফলে তারা তারেক রহমানের ধর্মীয় রাজনৈতিক চেতনাকে অসমর্থন করে। যার কারণেই তারেক রহমানকে হয়তো দেশে ফিরতে হতে পারে।
এ বিষয়ে শেষ খবর হলো, আগামী দুই দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবে ইন্টারপোল।
উল্লেখ্য, এর আগে তারেক রহমানের ওপর রেড অ্যালার্ট জারি করেছিলো ইন্টারপোল। আইএস সমর্থক তরুণী শামীমার সঙ্গে তারেক রহমানের আন্তঃযোগাযোগ শনাক্ত করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইন্টারপোল।