নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে আপস করে কারাগার থেকে বের হয়েছেন। দলীয় ব্যর্থতা বুঝতে পেরেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে বেগম জিয়া সরকারের সাথে আপোষ করেছেন। তিনি আপোষহীন নেত্রী নন। তিনি আপোষ করেছেন কেবল নিজের স্বার্থেই, দলের কথা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করেননি। যারা বিএনপি নেত্রীকে আপোষহীন বলে দাবি করেন তারা বাস্তবতা সম্পর্কে জ্ঞাত নন। বেগম জিয়ার আপোষহীনতার নামে রাজনৈতিক ভণ্ডামির বিষয়ে এমনটাই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি নেত্রী দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আদালতের মাধ্যমে মুক্তির ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি সরকারের সাথে আপোষ করে সাময়িক মুক্তির ব্যবস্থা করেন। গুঞ্জন রয়েছে, যাবতীয় অপরাধ স্বীকার করার পরই বেগম জিয়ার সাময়িক মুক্তি মিলেছে। অথচ বিষয়টি জানতে পেরেও বিএনপির সিনিয়র নেতারা বেগম জিয়ার ভুয়া সম্মান রক্ষার্থে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। বেগম জিয়াকে আপোষহীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করেন মির্জা ফখরুলরা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বেগম জিয়া সরকারের সাথে আপোষ করে নিজের জেল-জরিমানা কমিয়ে এনেছেন। বেগম জিয়া যা করেছেন তা কেবল ব্যক্তি-স্বার্থে করেছেন। তিনি দলের ইমেজের ব্যাপারে সামান্যতম কিছু ভাবেননি। বেগম জিয়ার জন্য বিএনপির বদনাম হচ্ছে, বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। অথচ আপোষ করে ঠিকই গুলশানের বাসায় আলিসান জীবন যাপন করছেন বেগম জিয়া।
বেগম জিয়া অত্যন্ত আরামপ্রিয় মানুষ। তাই নিজের আরাম-আয়েশের কথা চিন্তা করেই তিনি সরকারের সাথে আপোষ করে অপরাধ স্বীকার করেই মুক্তি নিয়েছেন। কাজেই তিনি কোনোভাবেই আপোষহীন নেত্রী নন। বেগম জিয়ার অপরাধ ও শাস্তির কারণে বিএনপি রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারছে না। নেতৃত্বহীনতায় দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এসব নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার নামে আরো আয়েসি জীবন যাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাই বেগম জিয়াকে সুযোগ সন্ধানী নেত্রী বললেই তার চরিত্রের সাথে মানানসই হবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।