সম্প্রতি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করতে একে একে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে ফিলিস্তিনের আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে নারী ও শিশুদের কান্নায়। এই হামলায় ইসরায়েলকে সহযোগিতা দিতে সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নীতির দ্বিমুখীতা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও দেখা দিয়েছে এক ধরনের দোটানা। বিশেষ করে বিএনপি ও তার মিত্ররা, দিনভর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে যেসব কথা বলতো তা আর বলতে পারছে না। কেননা ফিলিস্তিনে মুসলিম নিধন করায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে তারা। সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে চালাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের কারণে সবাই স্পষ্ট বুঝে গেছে, বিশ্ব থেকে মুসলিমদের ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তি মুছে দিতে বেপরোয়া একটি জোট। এই জোটে যারা যাবে তারা সবাই মানবতার কথা বললেও মুসলিমদের মানবতা নিয়ে চিন্তা করে না। তাই বিএনপিও পড়ে গেছে বিপাকে।
আসন্ন নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে বিএনপি অনেক খুশি। কিন্তু এই খুশির কারণে বিএনপিকে যে কত খেসারত দিতে হবে তা তারা বুঝতে পারছে না। কেননা যুক্তরাষ্ট্র যাদের মিত্র হওয়ার চেষ্টা করে তাদেরকে এই মানবতার দোহাই দিয়ে আটকায়। এরপর শুরু করে নিজেদের মিশন। তাই বিএনপিও পরোক্ষভাবে মুসলিম নিধনে শামিল হচ্ছে কীনা, তা ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।