দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হাজার কোটি টাকা মনোনয়ন বাণিজ্যের টার্গেট নিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কয়েকমাস আগে থেকেই এ তথ্য চাউর হয়েছে বিএনপির অভ্যন্তরে। এ নিয়ে বেশ আতঙ্কিত দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থক ব্যবসায়ীরা।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত না নিলেও মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারেকপন্থী নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে টাকা নিয়ে লন্ডন যাওয়া শুরু করেছেন বিএনপির বেশকিছু নেতা। তারেক রহমানকে খুশি করে এখনই মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চাইছেন তারা।
নয়াপল্টন সূত্রে জানা গেছে, আসন প্রতি মনোনয়নের নির্ধারিত মূল্য ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা ধার্য করেছেন তারেক রহমান। এরই মধ্যে প্রায় ১০০ আসনে প্রার্থীর খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা যাচ্ছে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে। আমলনামা দেখে মনোনয়নের জন্য দর কষাকষি করবেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানেই টাকার অংক নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্যে বিরক্ত বিএনপির একাধিক নেতা। তাদের একজন বলেন, তারেক রহমান টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তিনি বহু বছর ধরেই বিএনপিকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল করছেন। আগামী নির্বাচনকে ঘিরেও মনোনয়ন বাণিজ্যের পরিকল্পনা করেছেন তারেক। তবে এই টাকার একটি অংশও দলের বা নেতাকর্মীদের জন্য ব্যয় করবেন না তিনি। পুরো টাকা চলে যাবে লন্ডনে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিগত বছরগুলোতে বিএনপি অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক হারিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে ছোটখাটো কর্মসূচি পালনের জন্যও নেতাকর্মী খুঁজে পাবে না বিএনপি।
