logo
Thursday , 18 May 2023
  1. সকল নিউজ

মির্জা ফখরুল যেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মুখপাত্র

প্রতিবেদক
admin
May 18, 2023 10:19 am

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব। দলের মধ্যে প্রচন্ডভাবে অজনপ্রিয় একজন মহাসচিব দিনের পর দিন জগদ্দল পাথরের মতো দলটির নেতৃত্ব আঁকড়ে ধরে আছেন। দলের নেতা-কর্মী, জনগণ নয় বরং লন্ডনে পলাতক নেতাই তার একমাত্র আস্থার জায়গা। তার অভিপ্রায় এবং তার ইচ্ছার কারণেই দলে আস্থাভাজন নেতা না হওয়া সত্ত্বেও তিনি মহাসচিব রয়েছেন। ইদানিং তার অভ্যাস হল যেকোনো বিষয়ে কথা বলা। জেনে না জেনে কথা বলা এবং এমন সব বিষয়ে তিনি কথা বলেন যে বিষয়ে তার ন্যূনতম জ্ঞান নেই এবং সে সম্পর্কে ন্যূনতম তথ্য তিনি সংগ্রহ করেন না। তার প্রধান কাজ হল সরকার যা করবে সেই কাজের সমালোচনা করা, সেই কাজকে নিন্দা জানানো।

গতকাল বাংলাদেশ ভিয়েনা কনভেনশনের রীতি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করেছে। এই রীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যে সমস্ত কূটনীতিকরা অযাচিতভাবে বাড়তি নিরাপত্তা প্রটোকল সুবিধা পেত, সেই নিরাপত্তা সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই রাষ্ট্রদূতরা এ ধরনের প্রটোকল বা নিরাপত্তা সুবিধা পায় না, যা বাংলাদেশে পেত।

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ছড়ি ঘোরানো প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূতরা এ ধরনের কূটনৈতিক সুবিধা অন্যায্যভাবে ভোগ করতেন। যেটি ভিয়েনা কনভেনশন বা কোনো রীতি নীতির মধ্যে পড়ে না। এমনকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যিনি ওয়াশিংটনে অবস্থান করেন তিনি ন্যূনতম নিরাপত্তা পাননা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান বা অন্য দেশের সফরে যান তখনও তাকে খুব একটা নিরাপত্তা প্রটোকল দেয়া হয় না। এই বাড়তি নিরাপত্তা কেন দেওয়া হয় সেটি একটি প্রশ্ন। কারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বহু আগেই প্রশ্ন তোলা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও সরকারের বোধোদয় ঘটেছে এবং সরকার তাদের জন্য বাড়তি পুলিশ নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোনো রাষ্ট্রদূত বা কোনো দূতাবাস যদি মনে করে যে তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দরকার হবে তাহলে তারা নিজস্ব উদ্যোগে এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে পারে। এখন বাংলাদেশে প্রচুর বেসরকারি চৌকস নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে, যারা অনেক ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কাজেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সক্রিয়তার প্রমাণ। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অযাচিতভাবে না জেনে এর সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেছেন যে, এটি ক্ষতিকর হবে। কেন ক্ষতিকর হবে তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তিনি ভিয়েনা কনভেনশনেরও ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিয়েনা কনভেনশনের কোথাও নেই যে, বাড়তি পুলিশ প্রটোকল দিয়ে একজন রাষ্ট্রদূতকে পাহারা দিতে হবে, তার যাতায়াতের পথে সাধারণ নাগরিকদেরকে হয়রানির শিকার হতে হবে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সে সমস্ত কথাবার্তা বলেছেন, সে সমস্ত কথাবার্তাগুলো আসলে সরকারের সমালোচনা নয়, এটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা স্বকীয়তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাহলে কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশীদের পদলেহন করে ক্ষমতায় আসতে চান? বিদেশিদের তুষ্ট করে আমাদের আত্মসম্মান ও সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের স্বাতন্ত্র্য বিসর্জন দিয়ে তিনি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চান? সেই জন্যই তিনি না জেনে এ ধরনের কথাবার্তা বলেছেন?

বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সম্পর্ক নানারকম ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মেরুকরণের ওপর নির্ভর করে। কেবলমাত্র অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার করা হলেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ ধরনের উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাথায় কিভাবে এলো? নাকি তিনি মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন? তাদের স্বার্থ রক্ষা করাই তার প্রধান এজেন্ডা, জনগণের কথা বিবেচনা করা নয়।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ব্যাংক খাতের পুরোনো ‘রোগ’ সারাতে রোডম্যাপ ঘোষণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

রেলের কানেক্টিভিটি হবে প্রতিটি জেলায় : জিল্লুল হাকিম

নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে ইইউর হিসাব-নিকাশ

আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে আসবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি

ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাই: সোয়া ৯ কোটি টাকা উদ্ধার, আটক ৭

নেপালের বিদ্যুৎ ভারত দিয়ে বাংলাদেশে আনতে দিল্লির সম্মতি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক খেলাপি ঋণ নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগ

এবার শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

‘দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেটি মোকাবিলায় লড়াই করে যাবে ১৪ দল’

বিএনপি অবরোধ ডেকে গর্তে ঢুকে গেছে : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী