logo
Thursday , 18 May 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ক্যারিয়ার ভাবনা
  5. খেলা
  6. জাতীয়
  7. টেক নিউজ
  8. দেশের খবর
  9. প্রবাস
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. সম্পাদকীয়
  15. সাফল্য

একদিকে লোভনীয় পদ অন্যদিকে মেয়র, বিপদে আরিফ

প্রতিবেদক
admin
May 18, 2023 10:19 am

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থী হবেন কিনা সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়ে গত দুইবার তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন। এবারও তিনি মেয়র নির্বাচনে আগ্রহী। কিন্তু বিএনপি এখন পর্যন্ত তাকে সবুজ সংকেত দেয়নি। বিএনপি’র সম্মতি আদায় করার জন্য তিনি লন্ডন পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে তার সাথে তারেক জিয়ার সমঝোতা হয়নি।

পাল্টা আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে যদি নির্বাচন থেকে দূরে থাকে তাহলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্রীয় পদ দেয়া হবে। আর যদি শেষ পর্যন্ত আরিফ নির্বাচন করে, তাহলে তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। এরকম একটি অবস্থায় আরিফ নতুন করে হিসেব নিকেশ করছেন। তার পরিবার আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে পরামর্শ নিচ্ছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে খবরে জানা গেছে যে, আরিফ এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি করবেন না এ নিয়ে এক ধরনের দ্বৈত দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই পরামর্শ দিচ্ছেন তার শুভানুধ্যায়ীরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন যে, যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করা হয় তাহলে সিলেটে তার রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুই মেয়াদে মেয়র থাকার ফলে তিনি সিলেটে এক ধরনের অবস্থান তৈরি করেছেন এবং এই অবস্থান ধরে রাখতে হলে তাকে নির্বাচনে যেতেই হবে। আর যদি তিনি নির্বাচনে না যান তাহলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেবল ফাকা মাঠে গোলই দেবে না, বরং বিএনপি’র রাজনীতি সিলেট মহানগর থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে। বিএনপি’র একাধিক নেতাকে আরিফ এই কথাটি বলতে চাইছেন।

কিন্তু বিএনপি’র হিসেব অন্যরকম। বিএনপি মনে করছে যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তারা যে আন্দোলন করছে, এই আন্দোলনে তাদের আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে এবং তারা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করবে না বলে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা শুধুই কথার কথা নয়, সেটি আন্তর্জাতিক মহলে দেখাতে হবে। আরিফ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে এবং তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারে এরকম একটি ধারণা পশ্চিমা কূটনীতিকদের মধ্যে তৈরি হবে। এটি বিএনপি’র জন্য হবে বিব্রতকর এবং এক ধরনের পরাজয়। এ কারণেই বিএনপি এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আরিফ হোক বা যেই হোক না কেন, তারা যদি দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে দাঁড়ায় তাহলে তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আজীবন বহিষ্কারও করা হতে পারে।

অন্যদিকে আরিফের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, সে যদি নিজেকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখে তাহলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে একটি লোভনীয় পদের প্রস্তাবও করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে আরিফ। শেষ পর্যন্ত তিনি আজীবন বহিষ্কারের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করবেন, নাকি দলের পদ নিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন? আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তটি নিতে হবে তাকে। তবে আরিফ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেজন্য সিলেটে বিএনপি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি বড় ধরনের চাপ রয়েছে। এই চাপ মোকাবেলা করে আরিফ কি সিদ্ধান্ত নেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

সর্বশেষ - দেশের খবর