আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় নেওয়া হয় ডেল্টা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনা। ২১০০ সাল পর্যন্ত নেওয়া এই পরিকল্পনার আওতায় বর্তমানে ২৭টি কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ৭৪টি প্রকল্প, যার বেশির ভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনার অগ্রগতি ও সামনে করণীয় বিষয়’ তুলে ধরেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ বলছে, এই পরিকল্পনা শুরুতে যখন নেওয়া হয়েছিল, তখন কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তবে এখন সহযোগী প্রতিষ্ঠানই চাচ্ছে কিছু প্রকল্প যুক্ত এবং কিছু বাদ দিতে।
এই ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে প্রথবারের মতো দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের সম্মেলনে আলোচনা হবে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
বদ্বীপ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য মো. কাউসার আহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কাল (আজ) থেকে বদ্বীপ পরিকল্পনার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হচ্ছে। মূলত আমরা এই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায়। এখন তারা চাচ্ছে কিছু নতুন প্রকল্প যোগ করতে। তবে সেটা চাহিদামতো। ’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী মাসে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হবে, কী পরিমাণ প্রকল্প যুক্ত হবে এবং কী বাদ দেবে। ’
যা আছে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনায়
ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপে অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ৮০টি কর্মসূচি। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামোগত কর্মসূচি এবং ১৫টি প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও গবেষণা বিষয়ক কর্মসূচি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলো কখনো একক, আবার কখনো যৌথভাবে কাজ করছে।
এই পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ডেল্টা তহবিল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত তহবিল, বিশেষ করে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) পদ্ধতিকে বিবেচনা করা হয়েছে।