নিউজ ডেস্ক: বিএনপির রাজনীতিতে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা না থাকায় উৎসাহ হারাচ্ছেন তরুণরা। আর তরুণদের অভাবে বয়োজ্যেষ্ঠরাই ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিএনপিতে জেনারেশন গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ষাটোর্ধ্বরা মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে থাকায় রাজনৈতিক কৌশল, বুদ্ধি ও পরামর্শে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ এক যুগ ধরে দল পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদলে তরুণ কর্মী ভেড়াতে একেবারেই অসফল হয়েছে দলের হাইকমান্ড।
তরুণদের আকৃষ্ট করতে একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। এছাড়া নতুন প্রজন্ম বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ও পাকিস্তানের অনুগামী দল হিসেবে চেনে। যার কারণে বিএনপির প্রতি তরুণদের রয়েছে অনীহা।
অবশ্য তরুণদের আকৃষ্ট করতে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরকে একাধিকবার টোপ দিয়ে দলে ভেড়াতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বিএনপি।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্যারিশম্যাটিক নেতার অভাবে বিএনপির প্রতি তরুণ প্রজন্ম বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে। কারণ, ছাত্রদল ও যুবদল ছাড়াও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি, এমনকি স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহ আঁকড়ে রয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।
উল্লেখ্য, বিএনপির অভ্যন্তরে গুঞ্জন উঠেছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণদের জন্য বয়স্কদের রাজনীতি ছেড়ে দেয়াই উচিত। কারণ, বিএনপির বয়স্ক রাজনীতিবিদরা আজ নিষ্ক্রিয়। মাঠের রাজনীতিতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। লন্ডন বা অন্য কোনো স্থান থেকে আসা হুকুমে পরিচালিত হচ্ছেন তারা। সুতরাং সসম্মানে পদ ছেড়ে তরুণদের জায়গা না দিলে বিএনপি জেনারেশন গ্যাপে পড়বে এবং তরুণরা আরো বিএনপিবিমুখ হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।