ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ শিশুর জন্য সর্বোত্তম খাবার। জন্মের পর থেকে শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। তবে ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুর জন্য চাই বাড়তি খাবার।
শিশুর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়।৬ মাসে পা দেওয়ার সঙ্গে তার খাবারের তালিকা ঠিক করতে হবে।এ সময় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশের জন্য পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায় যা শুধুমাত্র বুকের দুধ দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়। শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়ান।
আসুন জেনে নেই ৬ মাস বয়সী শিশুকে কী খাবার খাওয়াবেন?
সবজি খিচুড়ি
ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে একটু শাক, গাজর, ডাল, টমেটো, সামান্য তেল দিয়ে খিচড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন।তবে খিচুড়িতে মরিচ দেবেন না। এছাড়া মাছ বা মুরগির খিচুড়ি, সুজি, পায়েস, ডিমের পাতলা নরম হালুয়া, ফলের রস, সবজি সিদ্ধ করে ম্যাস করে শিশুকে সুস্বাদু খাবার বানিয়ে খাওয়াতে হবে। ছবি : ফেসবুক থেকে নেয়া।
মাছ-মাংস, ডিম
এ সময় শিশুকে মাছ-মাংস, ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার, দুধের তৈরি খাবার খাওয়াতে পারেন। ডিম ও দুধ শিশুর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়া মাছ ও মাংস খাওয়ানো যেতে পারে।
কলা, বেদেনা, আঙুর ও আপেল
ফলের মধ্যে কলা দিয়ে প্রথম খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। পরে বেদেনা, আঙুর ও আপেল জাতীয় ফলগুলো রস করে খাওয়ানো যেতে পারে।
পাকা পেঁপে ও কাঁচা পেঁপে
শিশুকে পাকা পেঁপে ও কাঁচা পেঁপে খাওয়ানো যেতে পারে। পাকা পেঁপের রস করে আর কাঁচা পেঁপে সিদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন।
চালের সুজি
শিশুদের সামান্য দুধ নিয়ে চালের সুজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। সুজি অনেকেটা ভাতের কাজ করে। যা আপনার শিশুর শক্তি জোগাবে।
আলু, দুধ, বাদাম
শিশুকে আলু সিদ্ধ করে তার সঙ্গে দুধ ও বাদাম মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এটা শরীরের ভালো কাজ করে।
শিশুর শক্তি জোগাতে, সুঠাম দেহ গঠনে, দেহের ক্ষয়পূরণে, মেধা বিকাশে এবং শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে খাবার। তাই ৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিন।
পুষ্টিবিদ, আলরাজী ইসলামিয়া হাসপাতাল, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।