ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন অ্যালেক্স হেলস। রংপুর রাইডার্সের এই ওপেনার আগের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। আজ সোমবার ঢাকার বিপক্ষে ১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ রানে ক্রিস গেইল ও রাইলি রুশোর বিদায়ের পর এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন হেলস।
ইতিমধ্যে তারা ১৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। তাদের এই জুটিতেই প্রাথমিক দকল এড়িয়ে খেলায় ফেরে রংপুর। ডি ভিলিয়ার্স এবং হেলস দুজনেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। চলতি বিপিএলে ভিলিয়ার্সের প্রথম ফিফটি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন রংপুরের ইংলিশ ওপেনার হেলস।
এই রিপোর্ট লেখা অবস্থায় রংপুরের সংগ্রহ ১৪ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৩৬ রান। জয়ের জন্য শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ৫১ রান। ৬৭ ও ৬৫ রানে ব্যাট করছেন ভিলিয়ার্স ও হেলস।
ভিলিয়ার্সের ফিফটি
চলতি বিপিএলে প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সোমবার ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রানে ক্রিস গেইল ও রাইলি রুশোর উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রংপুর রাইডার্স।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুহূর্তে ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ধকল সামলিয়ে দলকে খেলায় ফেরান ভিলিয়ার্স।
৫ রানে গেইল-রুশোর উইকেট হারিয়ে বিপাকে রংপুর
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে দলীয় ৫ রানে ক্রিস গেইল এবং রাইলি রুশোর উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে রংপুর।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই রংপুরের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে সাজঘরে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। সুনীল নারিনের হাতে ক্যাচে তুলে বিদায় নেয়ার আগে ৬ বলে এক রান করার সুযোগ পান গেইল। এর আগের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাত্র ২ রান করেন গেইল।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রাইলি রুশো। গত শুক্রবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা রুশো, আজ সোমবার রাসেলের বলে গোল্ডেন ডাক পান।
ঢাকা ডায়নামাইটস ১৮৬/৬ রান
রনি তালুকদারের ফিফটি (৫২) এবং শেষ দিকে কায়রন পোলার্ডের অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন রংপুর রাইডার্স। সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা ডায়নামাইটস। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই ঢাকার আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে সাজঘরে ফেরান ফরহাদ রেজা।
দলীয় ৩৫ রানে সাজঘরে ফেরার আড়ে ১৮ বলে ১৭ রান করেন জাজাই। অবশ্য ৪ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল তার। মাশরাফির বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু শফিউল ইসলাম সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে না পারায় লাইফ পান হজরতউল্লাহ।
ফরহাদ রেজার পর নাজমুল ইসলাম অপুর আঘাত। ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই ঢাকা ডায়নামাইটসের ওপেনার সুনীল নারিনের উইকেট তুলে নেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ফরহাদ রেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন নারাইন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৮ রান করেন ডায়নামাইটসের এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার।
৫১ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তৃতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়েন সাকিব। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১২ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৫ রান করেন সাকিব।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করতেই মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ফরহাদ রেজার ক্যাচে পরিণত হন আন্দ্রে রাসেল। ৮ বলে ১৪ রান করে ফেরেন রাসেল।
ব্যাটসম্যানদের এই যাওয়া-আসার মিছিলে একাই লড়াই চালিয়ে যান রনি তালুকদার। শফিউল ইসলামকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করা রনি ফেরন ৩২ বলে ৫২ রান করে।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমেই বিভ্রান্ত শুভাগত হোম চৌধুরী। মাত্র দুই বল খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
ইনিংসের শেষ দিকে কায়রন পোলার্ডের ২৩ বলের অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা ডায়নামাইটস। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ নেন ফরহাদ রেজা। একটি করে উইকেট শিকার করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিউল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।