কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে মানুষের চলাচল


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ২২, ২০২৪, ৪:৫০ অপরাহ্ন | 559
কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে মানুষের চলাচল

সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ চলার টানা তৃতীয় দিনে ঢাকার রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। তবে সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর রাস্তাঘাট গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে মানুষের চলাচল। এদিকে সহিংসতাকারীদের রুখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে সময় সংবাদের রিপোর্টার নিবির সাহা জানিয়েছেন, মিরপুর, আগারগাঁও মোহাম্মদপুরসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেনাবাহিনী-পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সড়কে কোনো যানবাহন দেখলে তা থামিয়ে, তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পাশাপাশি চলাচলের জন্য যে পাস দেয়া হয়েছে সেটিও তারা দেখছেন। কেউ যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটাতে না পারে, সেজন্য তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নির্বাহী আদেশে দেশে সাধারণ ছুটি থাকায় যারা বের হচ্ছেন তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


শুক্রবার (১৯ জুলাই) মধ্য রাত থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। সন্ধ্যায় গণভবনে বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশে সহিংসতা রুখতে কারফিউ ঘোষণার কথা জানান।

এদিকে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে শিক্ষার্থীদের চাওয়াই প্রতিফলিত হয়েছে-এ রায়ে মেধার মূল্যায়নকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। এছাড়াও আদালতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, কোটা নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চাওয়া সম্মান।

গত ৫ জুন কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে একপর্যায়ে এ আন্দোলনে প্রবেশ করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। দেশজুড়ে জ্বালাও পোড়াও আর ধ্বংসযজ্ঞে মাতে একটি মহল। তবে কোটা আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন নাশকতার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাদের। নাশকতা সমর্থনও করেন না তারা।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার (২১ জুলাই) সকালে সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হয় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য সংস্কারের আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আইনজীবীরা জানান, এ রায়ে শিক্ষার্থীদের চাওয়াই প্রতিফলিত হয়েছে। এদিন আদালতে আইনজীবীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার ভাই লতিফ সিদ্দিকী। প্রতিক্রিয়ায় তারা জানান, কোটা নয়, সম্মান চান মুক্তিযোদ্ধারা।

দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে সকল দলকে নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান বঙ্গবীর।