যে কোনো দেশ থেকেই আমদানি করা যাবে আলু ও পেঁয়াজ : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২৪, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন | 712
যে কোনো দেশ থেকেই আমদানি করা যাবে আলু ও পেঁয়াজ : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আলু ও পেঁয়াজের আমদানিতে আইপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, যে কোনো আমদানিকারক এখন যে কোনো দেশ থেকে চাইলেই পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে পারবেন। শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে টিসিবি অডিটরিয়ামে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
গত ৬ মাসে মজুতদারি করে কোনো পণ্যে কেউ কারসাজি করতে পারেনি দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের ১৮ জেলা তলিয়ে গেছে। এতে পণ্য আসতে সমস্যা হচ্ছে, যা সাময়িক। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এ ছাড়া চাইলেই এখন যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করা যাবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, দেশের ১৮ জেলায় এ সময়ে বন্যা হচ্ছে। এ ছাড়া সারাদেশে বৃষ্টির কারণে ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে আমি মনে করি এটি সাময়িক।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় কী করছে, বন্যা-পরবর্তী কী ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। আমরা খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কী করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টি বা বন্যা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কোনো ব্যবসায়ীকে অসাধুভাবে সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না। আপনারা জানেন, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে গত ছয় মাসে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করতে পারেননি।
তিনি বলেন, এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কোনো সিন্ডিকেটের জন্য নয়। আপনারা দেখেছেন, কাঁচাবাজারে বসে পণ্য বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি নেই। সারাদেশের মাঠ-ঘাটে পানি, পণ্যের সরবরাহ ঠিকঠাক মতো হচ্ছে না। টিটু বলেন, ‘তার পরও আমাদের নজরদারি থাকবে। আমরা যে কোনো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।’
দেশের গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যসহ সরকারের সব কর্মকা-ের লক্ষ্য দেশের বেকারত্ব দূর করা। এ জন্য শুধু গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তাই দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ে রপ্তানি বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। তাই সব রপ্তানিকারকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তথ্যভা-ার তৈরির কথাও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরিতে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরবের দেশগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউরোপসহ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো হবে।

এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রপ্তানির হিসাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) শুধু তা প্রকাশ করে। এখন থেকে এনবিআরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের সঙ্গে সরাসরি তথ্য নিয়ে কাজ করবে ইপিবির পরিসংখ্যান বিভাগ। তা হলে রপ্তানি তথ্য নিয়ে আর বিভ্রান্তি তৈরি হবে না আগামীতে।