আইটি সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হবে: পলক


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ১৩, ২০২৪, ৩:১৫ অপরাহ্ন | 532
আইটি সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হবে: পলক
আগামী পাঁচ বছরে আইটি সেক্টরে ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে এবং এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।

আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে তিনি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আগামী দুই বছরে নতুন করে আরো ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।

সেই সঙ্গে এই ল্যাবগুলোকে আরো সক্রিয় করতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যেখানে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।

রোবটিক, ইন্টারনেট অব থিংক, এ আই, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানার সুযোগ পাবে।’ 

‘আমরা এরই মধ্যে দুই কোটি ফাইল কাগজবিহীন অবস্থায় ডি-নথির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য, পেপারলেস স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেখানে সরকারি সেবা পেতে দপ্তরে ঘুরতে হবে না।

স্মার্টফোনের মাধ্যমেই তারা পেপারলেস সার্ভিস নিতে পারবে। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি জয় স্মার্ট সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার নির্মাণ শুরু করেছি। প্রত্যেক পোস্ট অফিসকে আরো স্মার্ট ও গতিশীল করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রতিটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে অন্তত এক হাজার তরুণের আইটি খাতে কর্মসংস্থান করা হবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জসহ সারা দেশের ১৩টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে।

দেবীগঞ্জের এই সেন্টার স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।