স্টিল খাতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে চীন ও বাংলাদেশ


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ৭, ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন | 775
স্টিল খাতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে চীন ও বাংলাদেশ

চীন-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দেশের স্টিল খাত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ খাতে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া স্টিল খাত বিকাশ ও কাঁচামাল আমদানিতে সঠিকভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়ে এ খাতের জন্য সহায়ক নীতিমালা দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।

শনিবার ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে দুদিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ স্টিল বিজনেস সামিট-২০২৪’ সমাপনী অনুষ্ঠানে স্টিল খাতে চীনের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ আয়রণ অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আমির হোসেন নূরানী এবং বাংলাদেশ আয়রণ অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসিরউল্লাহ ও চীন-বাংলাদেশের প্রায় চার শতাধিক ব্যবসায়ী।

দুদিনব্যাপী এই সামিটে ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী (বি-টু-বি) একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রোডাক্টগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি, চাহিদা নিরুপন, যৌথ বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনার সুযোগ পেয়েছেন। চীনের পক্ষ থেকে দেশের স্টিল খাত উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, অ্যালায়েন্স অব চায়না স্টিল ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।

এই সংগঠনের সভাপতি মি. গেং বোর উদ্যোগে চীনের প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী সামিটে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করছি স্টিল খাতে চীনের বিনিয়োগ আসবে। তিনি বলেন, এ খাতে নীতি সহায়তা দরকার। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হলে ভ্যাট-ট্যাক্স কাঠামো ব্যবসাবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। জানা গেছে, দেশের স্টিল খাতে বিনিয়োগ করবেন চীনের উদ্যোক্তারা।

বর্তমান এ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। আগামী দুবছরের মধ্যে সেই বিনিয়োগ বেড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুদিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ স্টিল বিজনেস সামিটে চীনের ২৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের আগে এই সম্মেলন দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করছেন স্টিল খাতের উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, সামিটের মাধ্যমে চীনের স্টিল খাতের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবেন।অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আমির হোসেন নূরানী বলেন, দেশের অবকাঠামো খাতে ব্যাপক কাজ হচ্ছে এবং দিন দিন স্টিলের চাহিদা বাড়ছে। আপনারা এ খাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হতে পারবেন। চায়না অ্যালায়েন্স এক্সপোর্টার ও ইনভেস্টরের সভাপতি গেং বো বলেন, বাংলাদেশের স্টিল খাতে চীনের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ আগ্রহী।