টেকসই উন্নয়নে চাই কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা : প্রধানমন্ত্রী


admin প্রকাশের সময় : মে ১৬, ২০২৪, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন | 727
টেকসই উন্নয়নে চাই কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে। কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনাই টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান।’

বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প দেখছেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। ২০১৪ সালে লন্ডন গার্লস সামিটে আমি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ আইন সংশোধন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের ফলে বাল্যবিবাহের হার বহুলাংশে কমেছে। আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত’বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তুলেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন স্তরের কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে ৮ হাজারের বেশি কিশোর-কিশোরী ক্লাব করা হয়েছে। ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এক কোটি নারীকে তথ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্প লাইন ‘১০৯’ চালুর মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘প্রতিটি থানায় নারী পুলিশের দায়িত্বে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সাপোর্ট ডেস্ক খোলা হয়েছে। আমরা জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য বিষয়ক কৌশলপত্র (২০১৭-২০৩০) এবং এর বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা ১ হাজার ২৫৩টি ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কর্নার প্রতিষ্ঠা করেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে আমরা দেশব্যাপী ‘স্কুল মিল’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উপবৃত্তি, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করার মতো উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তির ৪২.৬ শতাংশ নারী। এই হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।’

আইসিটি খাতের কর্মী বাহিনীতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কার্যক্রম নেওয়ার কথাও তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গেস্নাবার জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং এ অঞ্চলে প্রথম। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আগের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩৮.২৪ শতাংশ বেশি ছিল। আমাদের সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২.৩ বছর। বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশই কর্মক্ষম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৯.২৯ শতাংশের বয়স ষাটের বেশি। প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লক্ষের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি। এর পাশাপাশি আমরা অসহায় নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং সমাজের অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারিত করেছি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি যে কোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।’

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সব মানুষের, বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রম্নত ও বাস্তুচু্যত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরাইলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা বলব। বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত জীবন-মৃতু্যর সঙ্গে তারা লড়াই করছে। আমি আশা করি, জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুর, জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সঙ্গে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই সংলাপ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করার এবং বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার সুযোগগুলো অনুসন্ধান করার একটি পস্নাটফর্ম তৈরি করেছে। এই বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

মাতৃমৃতু রোধে বাংলাদেশের উন্নতি অভাবনীয়: ইউএনএফপিএ

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম বলেন, ‘মাতৃমৃতু্য রোধে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃতু্যর হার এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এমনকি বাংলাদেশে এটি আরও চিত্তাকর্ষকভাবে প্রায় ৩৮ শতাংশ কমেছে।’

ড. নাতালিয়া কানেম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার লাভ লাখ লাখ মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা বিশ্বব্যাপী দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এমনকি অসংখ্য দেশ প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অনিরাপদ গর্ভপাত কমানোর ব্যবস্থা এবং ব্যাপক যৌনতা শিক্ষায় প্রবেশাধিকার প্রসারিত করা।’

তিনি বলেন, ‘আজ একজন নারী হওয়া অনেক বেশি নিরাপদ, বেনিনে হোক বা বাংলাদেশে; একটি শিক্ষা অর্জন করা সহজ, সন্তান জন্ম দেওয়া নিরাপদ, একটি মেয়ের পক্ষে তার জীবনের গতিপথ বেছে নেওয়া আরও বেশি সম্ভব। তবুও আমাদের স্বীকার করতে হবে যে অসমতা এখনো রাজত্ব করছে, অনেক নারী ও মেয়েকে সেই অগ্রগতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও অনেকগুলো বড় গ্যাপ রয়ে গেছে। অতএব জনসংখ্যাগত স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য সেই গ্যাপগুলো পূরণ করুন।’

‘নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা পাসের হারে এগিয়ে’

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. নাতালিয়া কানেম। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাতালিয়া।

সাক্ষাৎকালে শিশু ও মাতৃ মৃতু্যহার, প্রজনন স্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে এবং নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশে এখন স্কুল পরীক্ষায় সংখ্যা এবং একাডেমিক ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকালে বলেন, ‘সম্প্রতি মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে সংখ্যা এবং পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে। অথচ অতীতে একটা সময় অনেক বাবা-মা মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী ছিলেন না।’

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক শিশু ও মাতৃ মৃতু্যহার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শিশু ও মাতৃ মৃতু্যহার হ্রাসে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথাও উলেস্নখ করেন তিনি।

এসময় জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। যার ফলে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের দুর্দশা কমেছে।’

নারী শিক্ষায় অগ্রগতির কথা উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং স্কুল ফিডিং কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা উলেস্নখ করেন। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় বিপুল সংখ্যক নারী এখন স্কুলে আসছে।’

সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান।