ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এতে ডিএনসিসির পাশাপাশি পরিষ্কার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ১৫ শতাধিক কর্মী। তাদের সঙ্গে খালে নেমেছেন মেয়র আতিকুল ইসলামও।
শুক্রবার বছিলার লাউতলা খালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে মেয়র নিজেও নেম পড়েন। গ্লোবস পড়ে খালে পরিষ্কারে অংশ নেন তিনি।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা খালে ময়লা ফেলে তাদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে, তাদের মনে ময়লা আছে বলেই তারা এভাবে খালে ময়লা ফেলতে পারে।
এর আগে বছিলার পুলিশ লাইন মাঠে বিডি ক্লিনের ১৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের শপথবাক্য পাঠ করান ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শপথবাক্যের একাংশে তারা বলেন, কোথাও যত্রতত্র ময়লা ফেলব না। অন্যরা যেন ময়লা না ফেলে সে বিষয়ে সচেতন করব।
এদিকে খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি।
পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচিত হওয়ার পরই ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন খাল পরিষ্কার করতে নিজেই পানিতে নেমে পড়েছিলেন। মাধবপুরে ৪০ বছরের আবর্জনাপূর্ণ শত শত স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে খালে নেমেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।