বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধ করতে দুই বছর আগে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরে তাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চাপে ফেলতে লবিস্ট ফার্ম দিয়ে তদবিরও করায় দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে দেয়া বিএনপি ও লবিস্ট ফার্ম ব্লু-স্টার স্ট্র্যাটেজিসের চিঠি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
আর এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিএনপি। তাদের এবারের নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডায় লবিস্টের পেছনে বিএনপির খরচ হয়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার। মার্কিন সাবেক কংগ্রেস ম্যান জিম বেটসের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে মার্কিন বিভিন্ন দফতর ও লবিস্ট ফার্ম ব্লু-স্টারসহ বেশ কয়েকটি কয়েকটি দফতরে চিঠি চালাচালি করেছে বিএনপি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব চিঠিপত্র চালাচালি করেছেন।
এবারও লবিস্ট ফার্ম ব্লু-স্টার স্ট্র্যাটেজিসকেই বাংলাদেশ নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডার জন্য বেছে নিয়েছে বিএনপি। তাদের কাছে পাঠানো সব চিঠি বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা হয়েছে। ঠিকানা দেয়া হয়েছে দলটির নয়াপল্টন অফিসের। আর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাদের অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয় ৭ মিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি বিএনপির অপরাজনীতির নিদর্শন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যেটা আমাদের সবাইকে ভীষণভাবে ব্যথিত করেছে। দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের যে আলামত বেরিয়ে এসেছে সেটা খুবই নিকৃষ্টমানের রাজনীতি। প্রথমত দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা বেআইনি, অপরাধ। তারপর সেই টাকা আবার দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা। এমন দেশবিরোধী রাজনৈতিক দলকে জনগণের স্বার্থে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।