এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, টানেল যুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম। এই বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্সের (উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য) মধ্যে সংযোগ হিসেবে কাজ করবে। পদ্মা সেতুর মতো এ টানেলও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। চট্টগ্রাম অঞ্চল ঘিরে মেগা প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নগরের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল : এ লিপ টুওয়ার্ডস ভিশন ২০৪১’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত জানতে চট্টগ্রাম চেম্বার এই বৈঠকের আয়োজন করে। আগামী ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সক্ষমতা তৈরি হওয়ায় জাপানসহ বিভিন্ন দেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কর্ণফুলীর অপর পাড়ে নগরায়ণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত গড়ে উঠবে অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে করা গেলে মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে মিরসরাই শিল্পনগরে আসা যাবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সহসভাপতি রাইসা মাহবুব, চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য শহিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আহমেদ, ফজলে শামীম, এএম মাহবুব চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, আবু মোরশেদ চৌধুরী প্রমুখ।