logo
Monday , 16 October 2023
  1. সকল নিউজ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : পাকিস্তানের পথেই হেঁটেছিলো বিএনপি

প্রতিবেদক
admin
October 16, 2023 9:44 am

বেশ পুরোনো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইতিহাস। যার পরিকল্পনা ১৯৬১ সালে শুরু হলেও পাকিস্তান সরকার তা বাতিল করে। পরে দেশ স্বাধীনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর আবারো থেমে যায় রূপপুর প্রকল্প।

পরবর্তীতে জিয়া-এরশাদ সরকারের আমলে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফাইল পুনরায় খোলা হলেও তা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আর আলোর মুখ দেখেনি। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের দুটি কোম্পানি দ্বিতীয়বার ফিজিবিলিটি স্টাডি করে জানায় ৩০০-৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্ভব। কিন্তু তা এরশাদ সরকার আমলেই নেয়নি। খালেদা জিয়ার শাসনামলেও একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের ফিজিবিলিটি স্টাডির ফাইল ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়।

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার উদ্যোগে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

কিন্তু ২০০১-২০০৬ বিএনপি-জামায়াতের আমলেও খালেদা জিয়া পুনরায় ফাইল ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। বিনিময়ে খালেদা পুত্র তারেক দেশকে বিদ্যুতের বদলে খাম্বা উপহার দিয়েছিলো।

পরের গল্পটা অদম্য বাংলাদেশের। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার অঙ্গীকার করে। যা ২০২৩ সালে এসে এখন বাস্তব। সম্পন্ন হয়েছে শতভাগ কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দেশ রাশিয়া ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করে ৫ অক্টোবর। চলতি বছরেই আওয়ামী সরকারের অধীনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে স্বপ্নের প্রজেক্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

সর্বশেষ - সকল নিউজ