দেশজুড়ে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সবজিওয়ালা পর্যন্ত আলোচনার বিষয় এখন একটাই- যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ না করলেও কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়েছে বিএনপি ও বিরোধী দলীয় জোট।
জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। তাদের এই আশার হালে পানি দিয়েছিল এই ভিসানীতি। বিএনপি মনে করেছিল- ভিসানীতি তাদের পক্ষে থাকবে। কিন্তু নির্বাচনকে যারাই বাধাগ্রস্থ করবে তারাই থাকবে নিষেধাজ্ঞার আওতায়। আর তাতেই কপাল পুড়েছে মির্জা ফখরুল ইসলামদের।
কেননা নির্বাচন বয়কট করার যে হুমকি এবং বানচালের যে পরিকল্পনা করেছিল তা এই নীতির কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। কেননা বিএনপির অনেক নেতার আত্মীয়-স্বজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তাদের ভিসা নিষিদ্ধ হবে-যদি নির্বাচনে সহিংসতা হয়।
এই ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে সহিংসতার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। তবে এই নীতি প্রয়োগের পর বিএনপির রাজনীতিবিদ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গেছে উদ্বেগ। প্রথমবার যখন ঘোষণা আসে তখন একধরণের প্রভাব অনুভূত হয়েছিল। বিরোধীদেরকে ব্যাপক চাঙ্গা মনে হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে আবার ঘোষণাটি আসার পরে কোনো দিক থেকে খুব একটা মাতামাতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন, আমার মনে হয়, মার্কিন ভিসা নীতি নির্বাচন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করবে। অনেকেই নির্বাচন ঘিরে যে সহিংসতা বা বানচালের অপচেষ্টা করেছিল, তা হবে না। কারণ নেতাদের সন্তানরা বাইরে থাকে। তাদের ফিরে আসার আশঙ্কা আছে।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিসানীতির কারণে বড় সড় লসই হলো বিএনপির। আন্দোলন চাঙ্গা করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ছে সবাই। ভিসার ভয়ে কেউই বেশি লাফ ঝাফ করতে পারছে না। ছোটখাটো নেতা ও মহিলা নেত্রীদের দিয়েই আপাতত কাজ চালাচ্ছে বিএনপি।