গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ইনটেলেকচুয়াল হিষ্ট্রি অন স্টার্ট-আপ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় স্টুডেন্ট টু স্টার্ট-আপ ভেঞ্চারস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত মাইক্রো কোর্স অন ইনটেলেকচুয়াল হিষ্ট্রি অন স্টার্ট-আপ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার রাজশাহীতে শেষ হয়েছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহীর জয় সিলিকন টাওয়ারে ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান সিড’ উদ্যোগের আওতাধীন স্টার্ট-আপ স্টুডিও স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড’ এর উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের সঙ্গে সংশি্লষ্ট মেন্টর, কোচ, ট্রেইনার ও অন্যান্যরা শুধু হাতে কলমে শিখাবেনই না যে কীভাবে একটি স্টার্ট-আপ তৈরি বা গড়ে করতে হয় বরং পুরো স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড (ওয়েব অ্যাপলিকেশন) প্রত্যেকের জন্য টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করবে। জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহীতে স্থাপিত স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডটি বিনামূল্যে কোচিং, মেন্টরিং ও স্টার্ট-আপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের পাশাপাশি প্রত্যেকের জন্য কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও বরাদ্দ দেবে।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে পলক বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা সাইবার সিকিউরটি অ্যাক্ট নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা বিষয়টি না জেনেই করছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট জনবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। এ আইনে গণমাধ্যম বা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা খর্ব নয় বরং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের সঙ্গে সংশি্লষ্ট মেন্টর, কোচ, ট্রেইনার ও অন্যান্যরা শুধু হাতে কলমে শিখাবেনই না যে কীভাবে একটি স্টার্ট-আপ তৈরি বা গড়ে করতে হয় বরং পুরো স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড (ওয়েব অ্যাপলিকেশন) প্রত্যেকের জন্য টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করবে।
ভবিষ্যত স্টার্ট-আপ তৈরি লক্ষ্যে আয়োজিত এ কোর্সে রাজশাহী জেলার আওতাধীন পাঁচটি ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২৩৯ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেছিল বলে জানিয়েছেন স্টুডেন্ট টু স্টার্ট-আপ ভেঞ্চারস লিমিটেডের সিইও আশিকুর রহমান রুপক। আশিকুর রহমান রুপক জানান, একটি কন্সেপ্ট ও কালচার হিসেবে স্টার্ট-আপের ইতিহাস, বিবর্তন ও প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার পাশাপাশি কেন এবং কীভাবে একটি স্টার্ট-আপ গড়ে তুলতে হয় তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করাই এ মাইক্রো-কোর্সটির মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ& বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের আওতায় ছয় মাসব্যাপী কো-এন্টারাপ্রেনরশিপ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হবে, যার লক্ষ্য নতুন নতুন স্টার্ট-আপ তৈরি এবং বাজারে লঞ্চ করা। রাজশাহী জেলার অন্তর্গত যেকোনো পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণী যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক প্রোজেক্ট, থিসিস, রিসার্চ বা বিজনেস আইডিয়া আছে যেগুলোকে বাস্তবে একটি বিজনেস ভেঞ্চার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা এ লঞ্চপ্যাড থেকে সুবিধা পাবেন।
অক্টোবর ২০২৩-২০২৪ সেশনের ব্যাচে ভর্তিচ্ছু প্রায় ২৫১ জন তরুণ-তরুণী, উদ্যোক্তা ও স্টার্ট-আপ ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর আগে গত ২৭ আগস্ট চুয়েটে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের উদ্বোধন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সব শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি করে লঞ্চপ্যাড স্থাপন করা হবে এবং একেকটি স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড বছরে ৫০টি করে নতুন স্টার্ট-আপ তৈরি করে বাজারে লঞ্চ করবে বলে সংশি্লষ্টরা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাত্তাহ মো. বালিগুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক রাজশাহী প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুল কবির।
