logo
Sunday , 3 September 2023
  1. সকল নিউজ

শাস্তির মুখোমুখি বিএনপির দুই মার্কিন লবিস্ট

প্রতিবেদক
admin
September 3, 2023 9:30 am

মার্কিন আইন ভঙ্গ করে আইনি গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন মার্কিন সাবেক দুই কূটনীতিক উইলিয়াম বি. মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন আইন ভঙ্গ করে বিএনপির লবিস্ট হিসেবে কাজ করায় যে কোনো সময় শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।

জানা গেছে, মার্কিন দুই সাবেক কূটনীতিক উইলিয়াম বি মিলাম ও জন ড্যানিলোভিজ বিএনপির পক্ষে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তারা মার্কিন আইন অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে লবিস্ট হিসাবে তালিকাভুক্ত না হয়েই এভাবে কাজ করেছে। এতে করে দেশটির ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (এফএআরএ)-এ বর্ণিত প্রবিধান লঙ্ঘন হয়েছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস বলছে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এফএআরএ লঙ্ঘন করে, তবে তাদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমান বা উভয় দণ্ড হতে পারে। তবে ছোট পরিসরে এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের জেল বা ৫ হাজার ডলার জরিমান বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

উইলিয়াম বি. মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর ক্রিয়াকলাপ এফএআরএ লঙ্ঘনের দিকেই ইঙ্গিত করে। কেননা তারা গণমাধ্যমের সোর্স হওয়ার কথা বলে স্পষ্ট বিএনপির মতো অতি-ইসলামবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দলের হয়ে কাজ করেছে। তারা সংবাদের উৎস হওয়ার অজুহাতে লবিস্ট হিসাবে তাদের ভূমিকা অস্পষ্ট করে।

যুক্তরাষ্ট্রের লবিং ব্যয় ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে বিএনপি পর্যায়ক্রমে আটটি লবিং ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে। তাদের দলের প্রধান লবিস্ট ফার্ম ছিল ব্লু স্টার এবং সাব-কন্ট্রাক্টর রাস্কি পার্টনার্স।

বাস্তবে এসব সংস্থা নিঃসন্দেহে একটি অতি ইসলামবাদী এজেন্ডা দ্বারা চালিত হয়ে বিএনপি জন্য লবিস্ট হিসাবে কাজ করছে। অথচ এফএআরএ’র অধীনে মার্কিন আইন অনুযায়ী, বিদেশিদের তথ্য দেওয়া বা তাদের হয়ে কাজ করতে হলে তাদের রেজিস্ট্রেশনের স্বচ্ছ ডকুমেন্ট থাকতে হবে। তাদের কার্যকলাপ থেকে অর্জিত অর্থের বিবরণ এবং ব্যয়গুলোর স্বচ্ছ বিবরণ দিতে হয়। কিন্তু উইলিয়াম বি. মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ ও মুশফিকুল আনসারে এফএআরএ’র অধীনে লবিস্ট হিসাবে নিবন্ধনের আইনি প্রয়োজনীয়তা মেনে চলেননি।

জন ড্যানিলোভিজ আগে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি ইসলামপন্থী ও জিহাদিদের পক্ষে প্রচারকারী হিসাবে পরিচিত। এখন তিনি সক্রিয়ভাবে ‘রাইট অব ফ্রিডম’ নামের একটি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত। তিনি বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কাছ থেকে অর্থ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছিলেন বলেও তথ্য রয়েছে।তাই যেকোনো সময় আইনের আওতায় আসতে পারে বিএনপির এই লবিস্টরা।

সর্বশেষ - সকল নিউজ