দেশের জনগণের সমর্থন বা ভালোবাসায় নয়, বিএনপি তার বিদেশি প্রভুদের গোলামী করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি প্রভুদের উপর ভরসা করে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি।
বিএনপি নেতারা এখন চাইছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিদেশিরা কথা বলুক। তাই বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়িতে বাড়িতে উপঢৌকন পাঠাচ্ছে দলটির নেতারা। জানা গেছে, বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের নেতৃত্বে একটি দল বিদেশিদের ‘পা চেটে’ দিয়ে আসছে যেন তারা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে কথা বলে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন দেশে বিএনপির লবিস্টরাও।
কিন্তু পশ্চিমা কোনো দেশই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করেনি। এমনকি ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তাদের মাথাব্যাথা নেই।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারীদের ভিসা না দেওয়ার যে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তাতে বিএনপি সমর্থকরা আনন্দে উদ্বেলিত, দেশের জনগণের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে তারা। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, বিদেশিদের সন্তুষ্ট করতে পারলেই ক্ষমতার গদিতে বসা যাবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কীভাবে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায় তারা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। সেজনেই বিদেশিদের পা চাটায় ব্যস্ত দলটির নেতারা। বিদেশি প্রভুদের উপর ভর করে তারা (বিএনপি) যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না বরং দেশকে দুর্বল করবে।
আপনার মতামত লিখুন :