গত ১ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রকাশিত বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি আমদানি স্থাপনা, আমদানি ও সরবরাহের সংশোধিত নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ২৮০০-২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
জ্বালানিসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে।
জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকেও উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি, মজুদ ও সরবরাহসহ সব কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নিম্নরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
নীতিমালায় বলা হয়, আমদানিকারক কম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি বা ভারী শিল্প খাতে প্রকল্প নির্মাণ কিংবা পরিচালনার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেরা পাইপলাইন, জেটি, স্টোরেজ ট্যাংক ও এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করতে পারবে। নির্ধারিত মাসুল দিয়ে পেট্রোবাংলার অব্যবহৃত পাইপলাইনও ব্যবহার করতে পারবে। এ জন্য ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। লাগবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সনদও।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘বেসরকারি উদ্যোক্তারা এলএনজি আমদানি করে সরবরাহের বিষয়টিতে বড় ধরনের অপারেশনাল জটিলতা রয়েছে। তাই আমার মনে হয় না উদ্যোক্তারা এতে উৎসাহিত হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :