সম্প্রতি অভিযোগ উঠে, কিছু ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনে, সেটি আরও চড়া দামে বিক্রি করছে। নিয়ম অমান্য করে এভাবে ডলার কেনাবেচার কারণে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে। এমন অভিযোগ উঠে ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির আওতায় আসবে এ ব্যাংকগুলো- এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২ এপ্রিল) অভিযুক্ত ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠে সাম্প্রতিক সময়ে এসব ব্যাংক ১১৩ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কেনার। একইভাবে তারা আমদানিকারকের কাছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার বিক্রি করে। অথচ ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দরে রেমিট্যান্স কেনার কথা। বাড়তি অর্থ এ ব্যাংকগুলো এক্সচেঞ্জ হাউসের প্রতিনিধিকে পরিশোধ করে বা অন্যান্য খাতের ব্যয় দেখা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, নির্ধারিত সময়ে রোববার সকালে তাদের (অভিযুক্ত ব্যাংকের এমডি) নিয়ে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইদিন রোববার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক লেনদেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামে প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি পদোন্নতি পেতে অন্যান্য ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।