‘মোশতাক-জিয়ার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ বানচাল করা’


admin প্রকাশের সময় : মার্চ ৩১, ২০২৩, ২:৫৩ অপরাহ্ন | 764
‘মোশতাক-জিয়ার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ বানচাল করা’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মোশতাক ও জিয়ার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে, তখন মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। সে সময় জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তিনি এই সরকারের অধীনে যুদ্ধ করবেন না। ওয়ার কাউন্সিলের মাধ্যমে যুদ্ধ করবেন। একইভাবে খুনি মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করার কথা বলে কৌশলে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোষ করতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘খুনী মোশতাক ও জিয়ার অবৈধ সরকারের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স: পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কালো আইন’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান ও মোশতাক মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেননি। এসব কিছুর পরও বঙ্গবন্ধু মহানুভাব ছিলেন বলেই পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানকে উপসেনা প্রধান এবং মোশতাককে মন্ত্রী বানিয়ে ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান এবং মোশতাককে বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা দিয়েছিলেন বলেই তারা বঙ্গবন্ধুর এতো বড় ক্ষতি করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ৭২-এর সংবিধানকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ করেছিলেন। জয় বাংলার পরিবর্তে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান প্রবর্তন করেছিলেন। মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এভাবে জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। আলোচক ছিলেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মফিজুল হক সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল প্রমুখ।